কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রোববার (১ আগস্ট) থেকে খুলছে গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী শিল্পকারখানা। এসব শিল্পকারখানায় কাজে যোগ দিতে বিভিন্ন জেলার মতো রংপুর থেকে ঢাকায় ফেরার চেষ্টা করছেন শ্রমিকরা। কিন্তু গণপরিবহন না পেয়ে ঢাকা যেতে না পারায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন তারা।
শনিবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রংপুর নগরীর মডার্ন মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।
কলকারখানার উদ্দেশে রওনা হওয়া শত শত শ্রমিক এ বিক্ষোভে অংশ নেন। পরে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের আশ্বস্ত করলে সড়ক ছেড়ে দেন।
শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, কারখানা খুলে দিলেও আমরা কীভাবে সেখানে যাব তার কথা কেউ ভাবছে না। অথচ সময় মতো কারখানায় উপস্থিত হতে না পারলে মালিক তাদের চাকরিতে রাখবেন না। তারা দ্রুত গণপরিবহন খুলে দেয়া বা বিকল্প কোনো উপায় খুঁজে বের করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
রংপুর মহানগর পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (দক্ষিণ) বেলাল হোসেন বলেন, সরকারের নির্দেশে গণপরিবহন বন্ধ। কোনো গাড়ি যেতে দেয়া হচ্ছে না। শ্রমিকদের অবরোধের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, শ্রমিকদের আশ্বস্ত করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকায় পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিলে তারা বিকেল ৩টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে কাজ করেন এমন অন্তত ৬৫ শতাংশ শ্রমিকের বাড়ি রংপুর ও আশপাশের জেলাগুলোতে। বিধিনিষেধে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সরকার কলকারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়ায় ঈদের সময় তারা গ্রামের বাড়ি এসেছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/বিএফ