ঢাকায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত মেয়েকে দেখতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন বগুড়া জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম। শনিবার (২৫ নভেম্বর) ভোরে নাশকতার মামলায় বনশ্রীর একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের বনশ্রী থানার সহযোগিতায় বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করে। বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মোস্তাফিজ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর ও শাজাহানপুর থানায় ১৫টি মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপির হরতাল ও অবরোধ চলাকালে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা আর হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলাগুলো করেছে।
যুবদল নেতার স্ত্রী ফাহিমা ইমু বলেন, ছোট মেয়ে নূরে আলম নাভিয়া নভেম্বরের ১৪ তারিখ থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। নাভিয়া ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকার বেসরকারি অ্যাডভান্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। অবরোধে দলীয় কর্মসূচি পালন শেষে জাহাঙ্গীর মেয়েকে দেখতে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় আসেন। শনিবার ভোরে পুলিশের পোশাক পরে পাঁচজন ও সাদা পোশাকে কয়েকজন ব্যক্তি বাড়িতে এসে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে নিয়ে যায়। ওই সময় সাদা পোশাকে থাকা ব্যক্তিরা নিজেদের বগুড়া ডিবি পুলিশের সদস্য পরিচয় দেন।
ফাহিমা ইমু আরও বলেন, ঢাকা থেকে জাহাঙ্গীরকে বগুড়া ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা সেখানে গিয়ে তাকে দুপুরের খাবারও দিয়ে এসেছে। জাহাঙ্গীর বগুড়াতে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ছিলেন। তিনি কোনো নাশকতার সঙ্গে জড়িত নন। তাকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে।
বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান বলেন, হরতাল-অবরোধে নাশকতা চালিয়ে জাহাঙ্গীর আত্মগোপনে চলে যেতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে ঢাকা থেকে সব নিয়ম মেনেই গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে তাকে আদালতে হস্তান্তর করা হবে।
বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা বলেন, জাহাঙ্গীর কোনো অপরাধী নন যে অসুস্থ মেয়েকে দেখতে গেলে ঢাকা থেকে সাদা পোশাকে গ্রেফতার করে আনতে হবে। মিথ্যা রাজনৈতিক মামলায় হয়রানি আর জুলুমের উৎকৃষ্ট উদাহরণ এটিই।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ