বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: গ্রামীন টেলিকম ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান ও নোবেল বিজীয় ড. মো. ইউনূনের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পুলিশ তা দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিন ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত ঘোষ শুভ প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।
আদালত সূত্র জানায়, এর আগে চলতি বছরের ২০ মার্চ আদালতে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স তাজ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. বাহদুর ইসলাম ইমতিয়াজ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড, নালিশী দরখাস্ত ও দালিলী কাগজপত্র পর্যালোচনা করে মামলাটি পল্লবী থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
ড. ইউনূস ছাড়াও এ মামলায় গ্রামীন টেলিকম ট্রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম, ট্রাষ্ট্রের পিআইডির বিভাগীয় প্রধান মো. জহিরুল ইসলাম খান ও পিআইডির সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আসাদুল্লাহ দেওয়ানকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ বলা হয়, গ্রামীন টেলিকম ট্রাষ্টের ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জিরাব ঘোষবাগ প্রকল্পের বালু ভরাট কাজের এক কার্যাদেশ পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাজ এন্টারপ্রাইজ। কার্যদেশের মাধ্যমে বাদীপক্ষ নিষ্ঠার সঙ্গে ড্রেজার ও ড্রাম ট্রাকের মাধ্যমে ভরাট কার্যক্রম কার্যাদেশ অনুযায়ী সুসম্পন্ন করেন। এরপর বাদীপক্ষ বিল জমা দিলে আসামিরা বিল পরিশোধ করতে গরিমশি ও তালবাহানা করতে থাকে। বাদীপক্ষের চূড়ান্ত বিলে টাকার পরিমাণ ৬ কোটি ৮৫ লাখ ৮৯ হাজার ৪ টাকা। বাদীপক্ষ লিখিত আবেদনের মাধ্যমে টাকা পরিশোধের তাগিদ দিলে আসামিরা সার্ভে সংক্রান্ত ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে মর্মে বিল পরিশোধে অনাগ্রাহ দেখিয়ে হয়রানী করতে থাকে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০১৭ সালের ১২ জানুয়ারি পাওনা টাকা আদায়ে বাদী আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ আসামিদের কাছে পাঠান। এরপরও আসামিরা পাওনা টাকা পরিশোধের কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে বাদী বাধ্য হয়ে ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে মানি মোকদ্দমা (নং-১২/২০১৭) দায়ের করেন। মামলাটি এখনও বিচারাধীন রয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া পরিশোধের বিষয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি তাদের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়। আসামিপক্ষ সে অনুসারে টাকা পরিশোধ না করলে বাদী আদালতের শরণাপন্ন হন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস