শনিবার, ২২ জুন ২০২৪, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সেতু ভেঙে খালে বরযাত্রীবাহী গাড়ি, নিহত ১০ ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজারকে দেখতে হাসপাতালে রেলমন্ত্রী ১০ সমঝোতা স্মারক সই ক‌রল বাংলা‌দেশ-ভারত গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে নতুন দল পেলেন সাকিব বাংলাদেশের জন্য সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক নয়, কামড়ে কী করণীয়? ৩ বিভাগে ভারী, ৫ বিভাগে হালকা বৃষ্টি হতে পারে দুর্যোগ বাড়লেও প্রস্তাবিত বাজেটে জলবায়ু সম্পর্কিত বরাদ্দ কমেছে পটুয়াখালী ১৩২০ মেগা. তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে রাশিয়া কলেজে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল রোববার, আবেদন পড়েছে ১৩ লাখ মহাত্মা গান্ধীর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা রাজনীতিবিদরা কি চাঁদা তুলে ভাত খাবে? প্রশ্ন কাদেরের বাগেরহাটে বাসচাপায় বাবা-ছেলে নিহত, মা আহত ঢাকায় ফিরতেই ভোগান্তি শুরু রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ রাতে বাঁচা-মরার ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ গাজায় রেড ক্রসের কার্যালয়ের কাছে হামলায় নিহত ২২ প্রধানমন্ত্রীকে ভারতে লালগালিচা সংবর্ধনা চামড়ার দামে লবণের বাগড়া

ড. ইউনূসকে হয়রানি বন্ধ করুন : সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:
  • আপলোড সময় বুধবার, ১২ জুন, ২০২৪
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস সারা বিশ্বেই সম্মানিত মানুষ। তাকে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। অবিলম্বে এই হয়রানি বন্ধ করা উচিত।

বুধবার (১২ জুন) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার খোকন বলেন, লোকজন বলে নোবেল পুরস্কার পাওয়াই ড. ইউনূসের অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাকে অপমান, হয়রানি করা হচ্ছে। তার মতো সম্মানিত মানুষকে লোহার খাঁচায় পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আগামী ১৫ জুলাই সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এই আদেশ দেন।

গত ২ জুন অভিযোগ গঠনের ওপর উভয় পক্ষের শুনানির পর আদেশের জন্য রেখেছিলেন আদালত। ড. ইউনূসসহ আসামিদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

পরে আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হবে। এজন্য সাক্ষ্যগ্রহণ দুই মাস পেছাতে আবেদন করেছিলাম। আদালত এক মাস সময় দিয়ে ১৫ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ রেখেছেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হবে।

গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছর ৩০ মে মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে বলা হয়, ইউনূস ও নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকম বোর্ড সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। তবে ব্যাংকে হিসাব খোলা হয় এক দিন আগেই।

গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল। সেটেলমেন্ট চুক্তিতেও ৮ মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। ‘ভুয়া’ সেটেলমেন্ট চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গ্রামীণ টেলিকমের ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় স্থানান্তর করা হয় ২০২২ সালের ১০ মে।

পরে ২২ জুন অনুষ্ঠিত ১০৯তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট ফি হিসাবে অতিরিক্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৯ টাকা দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। অন্যদিকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাব থেকে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নামীয় ডাচ বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিসের হিসাব থেকে তিন দফায় মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করা হয়।

কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়েই ‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ ২০২২ সালের মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে সিবিএ নেতা মো. কামরুজ্জামান, মাইনুল ইসলাম ও ফিরোজ মাহমুদ হাসানের ডাচ বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার হিসাবে ৩ কোটি টাকা করে স্থানান্তর করা হয়।

একইভাবে আইনজীবী মো. ইউসুফ আলীর কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ধানমন্ডি শাখার হিসাবে ৪ কোটি টাকা ও দি সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে ৫ কোটি টাকা এবং আইনজীবী জাফরুল হাসান শরীফ ও আইনজীবী মো. ইউসুফ আলীর স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গুলশান নর্থ শাখায় যৌথ হিসাবে ৬ কোটি স্থানান্তর করা হয়, যা তাদের প্রাপ্য ছিল না।

দুদকের রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সেটেলমেন্ট চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে ‘অসৎ উদ্দেশে জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com