রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
শেয়ারবাজারে সপ্তাহজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ইসলামী ব্যাংক ঢাকার খাল দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা করছে সরকার জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য রাষ্ট্রকে অনন্য উচ্চতা দিয়েছে: আ স ম রব স্বৈরাচারের সহযোগী দলগুলোকে ১০ বছর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিৎ জনগণের আস্থা ফেরানোর চেষ্টা করছি: ডিএমপি কমিশনার ইউক্রেনে মেডিকেল সেন্টারে রাশিয়ার হামলা, নিহত ৬ পাবনায় পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু হিজবুল্লাহ প্রধান নাসরাল্লাহকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন দ্বিতীয় দিন একটি বলও মাঠে গড়ালো না প্রশাসনে আ. লীগের দোসরদের রেখে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয় : রিজভী ঢাকায় একদিনে ট্রাফিক আইনে ৬৩৩ মামলা, জরিমানা ২৩ লাখ বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া দুই ভারতীয় আটক পুলিশে ৩৬০০ কনস্টেবল নিয়োগ, আবেদন শুরু ১ অক্টোবর বিদেশি বিনিয়োগ টানতে উন্নত ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরির পরামর্শ আত্মসমর্পণ করবেন মাহমুদুর রহমান, যেতে হতে পারে কারাগারে ‘অজনা কারণে’ পেশাগত সনদ পাননি ৩ হাজারেরও বেশি নার্স চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত দেশের উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে আজও আমার কথা বলে চাঁদা-সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করলে পুলিশে দিন

ডেঙ্গু : ঢাকার বাইরে ৫০ জেলায়, আতঙ্কে দেশবাসী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০১৯
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: আতঙ্কে পরিণত হয়েছে ডেঙ্গু। এজন্য ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বহীন আচরণ এবং লাগামহীন বক্তব্যকেই অনেকে দায়ী করছেন। শুরুতে তারা এ ব্যপারে সচেতন হলে ডেঙ্গুর রাশ অনেকটাই টেনে ধরা সম্ভব হতো। এখনও মশা নিধনে যে ওষুধ দুই সিটি কর্পেোরেশন থেকে ছিটানো হচ্ছে- তা নিয়েও রয়েছে নানান অভিযোগ। এসব অভিযোগ কতটুকু সত্য -এ ব্যপারে দ্রুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন নগরবোসী। এছাড়াও ডেঙ্গুর ভয়াবহতা এখন আর শুধু রাজধানীতেই সীমাবদ্ধ নেই। এটা ছড়িয়ে পড়েছে দেশের ৫০টি জেলায়। একদিকে বন্যা, আরেকদিকে ডেঙ্গু- এটা নি:সন্দেহে সরকারের জন্য এক কঠিন পরীক্ষা। এরপরও এই চ্যালেঞ্জ সরকারকেই মোকাবেলা করতে হবে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে। 

বেসকারি হিসাবে গত সাত মাসে সারা দেশে ডেঙ্গু রোগির সংখ্যা এখন ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বছবর শেষ হতে বাকি আরও ৫ মাস।এই পরিসংখ্যান  বাংলাদেশের ইতিহাসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে,  চলতি বছরের ২৭ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭২০ জন। প্রতিদিনই ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি জেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন ডেঙ্গু রোগি।এসব রোগীকে সামাল দিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলো রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রায় দেড় যুগ আগে ২০০২ সালে দেশে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ২৩২ জন আক্রান্ত হন। তবে ২০০০ সালে ৯৩ জনের মৃত্যুর রেকর্ডই ছিল সর্বাধিক। সুদীর্ঘ ১৬ বছর পর অর্থাৎ ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ১৪৮ জন আক্রান্ত হয়ে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছিল। মৃতের সংখ্যা ছিল ২৬।চলতি বছরের সাত মাস শেষ হওয়ার আগেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা  ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর ফলে ২০১৮ সালের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড স্থাপিত হলো।

এদিকে, রাজধানীর বাইরের ৫০ জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি এসব রোগীর অধিকাংশই রাজধানী ফেরত বলে জানা গেছে। অন্যদিকে ঢাকার বাইরে এ পর্যন্ত ১ হাজার ২৮৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে। এর মধ্যে শুধু গতকাল নতুন ভর্তি হয়েছে ২৩৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা জেলার বাইরের হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসা নেয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২৮৩। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছে ৭৫২ জন। গতকাল নতুন করে ভর্তি হওয়াদের যোগ করে বর্তমানে ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩১।

তথ্যমতে, গত রোববার সকাল ৭টা থেকে গতকাল সকাল ৭টা পর্যন্ত দেশব্যাপী সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৯৬। সব মিলিয়ে হাসপাতালগুলোয় ভর্তি মোট রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৮৪৭। চলতি বছরের শুরু থেকে গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে মোট ১৩ হাজার ৬৩৭ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছে ৯ হাজার ৭৮২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১ হাজার ৯৬ জন রোগী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। এ হিসাবে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৪৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

জানা গেছে, ঢাকা শহরে ভর্তি থাকা ৩ হাজার ৩১৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫৯৩ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ২৬৯, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১০২, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ২৩৮, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ২১২, বারডেম হাসপাতালে ৪৮, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ৬৯, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ৮৫, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪১ ও বিজিবি হাসপাতালে ৩৬ জন। এদিকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে ২৬৫ জন। সব মিলিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২০৭। এসব হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ছাড়পত্র নিয়েছে ৪ হাজার ৪০৪ জন।

এদিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিএসএমএমইউর ডেঙ্গু চিকিৎসাসেবা সেলের শয্যাসংখ্যা ৪০ থেকে বাড়িয়ে ১৫০-এ উন্নীত করা হয়েছে। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে বিএসএমএমইউর মেডিসিন ওয়ার্ড, শিশু মেডিসিন ওয়ার্ড, ডেঙ্গু চিকিৎসা সেল, কেবিন ও আইসিইউতে ৭৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম নিশ্চিত করতে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ৬০টি নতুন শয্যা কেনা হয়েছে। প্রয়োজনে শয্যাসংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগের বাইরে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ৩৯১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের হাসপাতালগুলোয়। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ১৭১ জন, খুলনা বিভাগে ২০৩, রংপুর বিভাগে ৬১, বরিশাল বিভাগে ৫৭ ও সিলেট বিভাগে ৩০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। ঢাকা বিভাগে রাজধানীর বাইরের অন্যান্য জেলার হাসপাতালে মোট ৩৭০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছে।

ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

চট্টগ্রাম: জেলায় গতকাল একদিনে নতুন করে ৪১ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ ও নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ২৬ জন রোগীকে শনাক্ত করা হয়।

সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, চট্টগ্রামে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা রাজধানীর চেয়ে তুলনামূলক কম। এর পরও চট্টগ্রামে রোগটি নির্ণয়ে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলো আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।চট্টগ্রামে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন কমে আসবে বলে আশা করছেন তিনি।

বরিশাল: শেবাচিম হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত এখানে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীনের সংখ্যা ছিল ২৫। শনিবার এ সংখ্যা ছিল মাত্র ১২। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সব মিলিয়ে ১৬ জুলাই থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত বরিশালে মোট ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১৭ জন।

শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন জানান, আক্রান্তদের বেশির ভাগই ঢাকায় ডেঙ্গুর জীবাণুতে সংক্রমিত হয়েছে।

গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একজন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন জানান, রোববার সন্ধ্যায় এখানে আরো দুজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। গতকাল সকালেই এদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বগুড়া: এ জেলায়ও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গতকাল সকালে জেলার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে আরো দুজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়। এ নিয়ে জেলার সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০। এছাড়া ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে ছয়জনকে, ছাড়পত্র নিয়েছে ২৪ জন ও বেসরকারি বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে সাতজন। এদের প্রায় সবাই ঢাকা থেকে ফেরার পর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে।

শজিমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. আরিফুর রহমান তালুকদার জানান, হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু আক্রান্তদের সুচিকিৎসার জন্য মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদের নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছে। তবে সমস্যা হলো হাসপাতালে ব্লাড সেল সেপারেটর মেশিন নেই। ক্ল্যাসিক্যাল ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া হলেও হেমোরেজিক ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার কোনো সরঞ্জামাদি নেই। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জানানো হয়েছে। যারা ঢাকায় যেতে চাইছে, তাদের ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে। শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সবাই ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছে এবং তারা প্রধম ধাপের রোগী। এদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।

ফেনী: জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লেও এ নিয়ে আতঙ্ক কমছে। অন্যদিকে জেলার সরকারি হাসপাতালে ওষুধ সংকটের কারণে বিনা মূল্যে ডেঙ্গু চিকিৎসা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জুলাইয়ের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ৬১ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩১ জন এরই মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে ছয়জনকে। গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টার তথ্য অনুযায়ী, হাসপাতালের পুরনো ভবনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছিল। এখন পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া রোগীদের প্রায় সবাই ঢাকায় ডেঙ্গুর জীবাণুতে সংক্রমিত হয়েছে।

এদিকে ওষুধ সংকটের কারণে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্তদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কয়েকজন রোগী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সকালে তাদের বিনা মূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হলেও বাইরের ফার্মেসি থেকে স্যালাইন ও ইনজেকশন কিনে আনতে হয়েছে।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবু তাহের পাটোয়ারী ওষুধ সংকটের কথা স্বীকার বলে বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিনা মূল্যে করা হচ্ছে। সরবরাহ না থাকায় স্যালাইন ও ইনজেকশন দেয়া যাচ্ছে না।

রাজবাড়ী: জেলার পাঁচ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গত দুদিনে ১৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে এদের মধ্যে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে দুজন। রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহফুজার রহমান জানান, গত দুদিনে রাজবাড়ীতে ঢাকা থেকে আসা ১৯ ব্যক্তির ডেঙ্গু জ্বর শনাক্ত হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে দুজন। বাকি ১৭ জনের মধ্যে কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে, আবার কেউ উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ফিরে গেছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com