ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু চুরির অভিযোগে চক্রের আট সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার (২১ জুন) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোবাশ্শিরা হাবীব খান।
গ্রেফতাররা হলেন- সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার পারকুলগয়টা এলাকার বাসিন্দা মোমিনুল (৩০), ঢাকার দোহারের পুষ্পখালী এলাকার বাসিন্দা রমজান শেখ কালু (৪০), সাভারের ঝাউচর এলাকার বাসিন্দা মো. খোকন (৪০), সিরাজগঞ্জের কাজীপুর রোহাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম (৪৭), একই জেলার সদর থানার রতনকান্দি এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন (৩৬), রংপুরের কোতোয়ালি থানার মুক্তার হোসেন (৪০), সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার রামেশ্বরগাতি এলাকার বাসিন্দা মো. ইব্রাহিম শেখ (২৬) ও নওগাঁর আত্রাই থানার বাসিন্দা মো. গাজী (৩৮)।
পুলিশ জানায়, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে একাধিক চক্র ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু চুরি করছিল। ১৬ জুন নবাবগঞ্জের বান্দুরা ইউনিয়নের কাঠালীঘাটা এলাকার মনুরদ্দিনের (৭০) বাড়ি থেকে দুইটি ষাঁড়, একটি গাভীসহ তিনটি গরু চুরি করে। ভুক্তভোগী নবাবগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
ওই মামলার সূত্র ধরে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব ২০ জুন সাভার ও ধামরাইয়ে অভিযান চালিয়ে মোমিনুল ও রমজান শেখকে গ্রেফতার করে। তাদের দেওয়া তথ্যে মো. খোকনকে গ্রেফতার করে তার ঝাউচরের বাড়ি থেকে চুরি করা তিনটি গরু উদ্ধার করা হয়।
এরপর রমজানের দেওয়া তথ্যে শফিকুলকে গ্রেফতার করা হলে সে এক-দুই মাস আগে সাভারের ভাকুর্তার একটি এগ্রো ফার্ম থেকে চারটি গরু চুরির কথা জানায়। ওই ঘটনায় সাভার মডেল থানায় গত ৭ এপ্রিল মামলা করেছিল ফার্ম কর্তৃপক্ষ।
গ্রেফতার মোমিনুল ও শফিকুল আরও গরু চোরের তথ্য দিলে একে একে গ্রেফতার করা হয় আরও চারজনকে। তারাও গত সাত-আট মাস আগে ধামরাইয়ের নান্নার এলাকায় রেজাউল করিম মেঘু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে ছয়টি গরু চুরির কথা স্বীকার করে ও সেসব গরু বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নেওয়া হয়েছে বলে জানায়। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর ধামরাই থানায় মামলা করেন।
ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোবাশ্শিরা হাবীব খান বলেন, গ্রেফতাররা গরু চুরির পর নম্বর বিহীন যে ট্রাকে করে নিয়ে যেতেন সেটিও জব্দ করা হয়। এ চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/এআর