বাংলা৭১নিউজ, নাজিম বকাউল, ফরিদপুর থেকে : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে হতদরিদ্র মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র নির্ভরস্থল বোয়ালমারী হাসপাতাল। প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসক ও স্টাফদের। ৫০শয্যা বিশিষ্ট এই এই হাসপাতালে ১১৮টি পদের মধ্যে নির্ধারিত ৫৫ পদেই লোকবল নেই। দীর্ঘদিন ধরে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও জনবল সংকটে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত অসহায় দুস্থ রোগীরা। তাছাড়া শীতের শুরুতে ডায়রিয়াসহ ঠান্ডা জনিত রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় হাসপাতালে রোগীর চাপ মাত্রাতিরিক্ত। তবুও জীবন বাঁচানোর তাগিদে বাধ্য হয়ে হাসপাতালে সেবা নিতে হয় তাদের। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৫০শয্যা বিশিষ্ট বোয়ালমারী হাসপাতালে ১১৮টি পদের মধ্যে মাত্র ৬৩ টি পদে লোকবল নিয়োজিত রয়েছে। বাকি ৫৫পদ এখনও শূন্য। শূন্য পদ গুলো হলো কনসালটেন্ড ৭টি, মেডিকেল অফিসার ২টি, আইএমও ১টি, ইয়ারমেন্সি ১টি, এনিসথ্যেটিস ১টি, ডেন্টাল সার্জন ১টি, সহকারী সার্জন। প্রধান সহকারী ১টি, প্রধান সহকারী একাউনটেন্ড ১টি, ক্যাশিয়ার ১টি, পরিসংখ্যান ১টি স্টোর কিপার ১টি, অফিস সহকারী ২টি, মেডিকেল টেকনোলোজি (ক্যাব) ২টি, ফার্মালিস্ট ২টি, মেডিকেল টেকনোলোজি ইপিআই ১টি, স্যাকমো ১টি, একাউটেন্ড নার্স ১টি, জুনিয়ার মেকানি ১টি, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ২টি, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৩টি,স্বাস্থ্য সহকারী ১৪টি, একাউনটেন্ড ১টি, এমএলএসএস ২টি, ওয়ার্ড বয় ২টি, আয়া ২টি, সিকিউটি গার্ড ১টি, বাবুরচি ৩টি, ইয়ারজেন্সি এ্যাটেন্ডডেন ১টি, সুইপার ৩টি। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, একটু জটিল সমস্যা হলে হাসপাতালে আনলে তাৎক্ষনিক ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। যা গ্রাম অঞ্চলের একজন অসহায় মানুষের পক্ষে যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। জীবন বাঁচানোর জন্যই মানুষের কাছে ধার দেনা করে সুস্থ হওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে। তাই বোয়ালমারী হাসপাতালে সব চিকিৎসা পাওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে অসহায় রোগী ও স্বজনরা। আরএমও ডা. মোরসেদ আলম জানান, বিভিন্ন পদে লোকবল শূণ্য থাকায় মাত্রাতিরিক্ত চাপে থাকতে হয় কর্মরত চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্টাফদের। এ ছাড়া ৫০শয্যা হাসপাতাল হলেও প্রতিদিন রোগি ভর্তি হয় ৭০ থেকে ৭৫জন। পপ কর্মকর্তা ডা. তাপস বিশ্বাস জানান, লোকবল সংকটে মাত্রাতিরিক্ত চাপে রয়েছেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ। তবুও সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকসহ অন্যান্যরা। এদিকে ২৪ ঘন্টা ইমারজেন্সি বিভাগে একজন মালী, একজন এমএলএসএস ও একজন হারবাল এ্যাসিটেন্ট দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে।
ফরিদপুরে জিংক সমৃদ্ধ ধান আবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে কৃষক সমাবেশ
কৃষকদের জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ৭২ জাতের ধান আবাদে উদ্বুদ্ধ করতে ফরিদপুরের সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের খালেক বাজার এলাকায় কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) ও হারভেস্ট প্লাসের উদ্যোগে বুধবার বিকালে এ মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কার্তিক চক্রবর্তী।
এসময় এসডিসির নির্বাহী পরিচালক কাজী আশরাফুল হাসান, হারভেস্টপ্লাসের এআরডিও তন্ময় কুমার সাহা, কো অর্ডিনেটর আবুল বাশার খাঁন, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তৃষ্ণা রানী ও পরিমল দাস বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, জিংকে অভাবে মানুষ নানা ধরনের রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। কিন্তু জিংক সমৃদ্ধ চাউলের ভাত খেলে শরীরে জিংকের অভাব পুরণ হয়।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস