বাংলা৭১নিউজ, এ কে এম আব্দুল্লাহ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার আদমপুর গোহালবাড়ী গ্রামে ডাকাতি করার সময় ডাকাতদের গুলিতে চয়ন সরকার (২৫) নামক এক যুবককে হত্যার দায়ে ৩ ডাকাতকে মৃত্যুদন্ড, ১৯ ডাকাতকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। নেত্রকোনার জেলা ও দায়রা জজ কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা মঙ্গলবার সাড়ে ১১টার দিকে জনাকীর্ণ আদালতে ৫ আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছে নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার আমলীপুর গ্রামের সেকান্দর আলীর পুত্র উছমান গনি (৩৯), সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার টেঙ্গা গ্রামের মোস্তফা বেপারীর পুত্র কাওসার আহমেদ(৩৭) এবং শাল্লা উপজেলার চাঁনগাও গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের পুত্র (পলাতক) তাহের (৩২)।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছে, শহীদ মিয়া (পলাতক), জ্যোতি (পলাতক), মহিবুর ডাক্তার (পলাতক), রমজান মিয়া, (পলাতক) সিদ্দিক (পলাতক), মনু মিয়া (পলাতক), ইসলাম উদ্দিন (পলাতক), শাহজাহান (পলাতক), কবির (পলাতক), রইস আলী, জিয়াউল হক (পলাতক), শফিক (পলাতক), দিদার (পলাতক), খলিল (পলাতক), আক্কাস (পলাতক), হিরা, কইল্যা ওরফে ওস্তার আলী (পলাতক), শুকুর (পলাতক) এবং রইক্যা ওরফে রহিম। মামলা চলাকালে এক আসামীর মৃত্যু হয়। এদের সকলের বাড়ী সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই ও শাল্লা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
জেলা জজ আদালতের পিপি (চলতি দায়িত্বে) সাইফুল আলম প্রদীপ জানান, খালিয়াজুরী উপজেলার আদমপুর গোহালবাড়ী গ্রামে বিগত ২০১১ সনের ৪ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ২৫/৩০ জনের একটি আন্তঃজেলা ডাকাত দল মনোরঞ্জন সরকারের বাড়িসহ আরো তিনটি বাড়িতে ডাকাতি করার সময় গ্রামবাসী টের পেয়ে ডাকাত দলকে ঘেরাও করে ফেলে।
এ সময় ডাকাতরা এলোপাথারি বন্দুকের গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। ডাকাতের গুলিতে চয়ন সরকার(২৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। নিহত চয়নের বাবা মনোরঞ্জন সরকার বাদি হয়ে ঐদিনই অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে আসামী করে খালিয়াজুরী থানায় ডাকাতি ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে বিগত ২০১৩ সনের ২৪ জানুয়ারী ২৩ জন ডাকাতের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। মামলা চলাকালীন সময়ে আক্কাস (২৫) নামে একজন আসামীর মৃত্যু হয়। বিজ্ঞ বিচারক ১৪ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণাদি গ্রহনান্তে আসামীদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় উপরোক্ত রায় প্রদান করেন। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট আব্দুল লতিফ খান।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস