যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্য অনুযায়ী উত্তরসূরির জন্য হোয়াইট হাউসের রেজোলিউট ডেস্কে একটি চিঠি রেখে যান বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্যেও চিঠি রেখেছেন জো বাইডেন। কী লেখা ছিল তার সেই চিঠিতে?
গত মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, জো বাইডেন তার জন্য একটি ‘ভালো’ চিঠি রেখে গেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় তিনি চিঠিটি খোলেন এবং সেটি জনসমক্ষে প্রকাশ করার বিষয়টি ভাবছেন।
ট্রাম্প জানান, বাইডেন তাকে তার মেয়াদ উপভোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন এবং দায়িত্বের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
নতুন প্রেসিডেন্ট বলেন, চিঠিতে লেখা ছিল, ‘নম্বর ৪৭-এর উদ্দেশে।’ যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত ২০ জানুয়ারি শপথ নিয়েছেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, এটি খুবই ভালো একটি চিঠি ছিল। এটি মূলত অনুপ্রেরণামূলক বার্তা। উপভোগ করো। ভালো কাজ করো। গুরুত্বপূর্ণ, খুব গুরুত্বপূর্ণ—এই কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথ নেওয়া ট্রাম্প জানান, চিঠিটি ‘ইতিবাচক’ হওয়ায় এটি তিনি জনসাধারণকে দেখার সুযোগ দিতে চান।
ওভাল অফিসে একটি অনুষ্ঠানের সময় ট্রাম্পের কাছে এক সাংবাদিক জানতে চান, বাইডেন তাকে কোনো বার্তা রেখে গেছেন কি না। তখন ট্রাম্প ডেস্কে পাওয়া চিঠিটি ক্যামেরার সামনে তুলে ধরে জানান, তিনি সেটি ব্যক্তিগতভাবে পড়বেন এবং পরে এর বিষয়বস্তু প্রকাশ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প হলেন গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের পর প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি দুই মেয়াদে বিচ্ছিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ট্রাম্প ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাইডেনের জন্য একটি চিঠি রেখে গিয়েছিলেন, যা বাইডেন ‘খুব উদার’ হিসেবে বর্ণনা করলেও তা কখনো প্রকাশ করেননি।
চিঠি বিনিময়ের এই প্রথা শুরু হয়েছিল ১৯৮৯ সালে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের মাধ্যমে। তিনি তার উত্তরসূরি জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের জন্য একটি মজার নোট লিখেছিলেন। সেই চিঠিতে টার্কি পরিবেষ্টিত একটি হাতির ছবি ছিল, এবং তাতে লেখা ছিল— ‘টার্কিগুলো যেন তোমাকে হতাশ না করে।’
এরপর থেকেই প্রত্যেক বিদায়ী প্রেসিডেন্ট তার উত্তরসূরির জন্য ব্যক্তিগত বার্তা রেখে যান। এসব বার্তায় থাকে ভালোবাসা, শুভকামনা এবং প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার কথা।
সূত্র: রয়টার্স
বাংলা৭১নিউজ/এসএকে