ওমরাহ ভিসার মেয়াদ এক মাস থেকে বাড়িয়ে তিন মাস (৯০ দিন) করা হয়েছে। এখন থেকে ট্রানজিট ভিসায় সৌদি আরবে গিয়ে ওমরাহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা।
বুধবার (২৩ আগস্ট) সচিবালয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সঙ্গে বৈঠকে এসব তথ্য জানিয়েছেন সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ড. তওফিক বিন ফাওজান আর-রাবিয়াহ।
তিনি বলেছেন, ওমরা ভিসার মেয়াদ এক মাস থেকে বাড়িয়ে তিন মাস করা হয়েছে। এ ভিসায় গিয়ে সৌদি আরবে ঘুরতে পারবেন বাংলাদেশিরা।
বৈঠক শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ট্রানজিটে গিয়েও বাংলাদেশিরা সৌদি আরবে ওমরাহ করতে পারবেন। শুধু সৌদি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা এ সুবিধা পাবেন। ট্রানজিট ভিসার মেয়াদ হবে চার দিন।
হজের খরচ কমানোর বিষয়ে দুই দেশ আলোচনা করছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। আগামী হজে বাংলাদেশিদে জন্য কোটা বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সৌদি হজমন্ত্রীর কাছে বেশকিছু দাবি তুলে ধরা হয়। তার মধ্যে আছে—হজের সময় মিনা-মুজদালিফায় বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা, সুশৃঙ্খল লাগেজ ব্যবস্থাপনা, মুজদালিফা থেকে আসার পর বয়স্ক হাজিদের বিশ্রাম নেওয়ার পর শয়তানকে পাথর মারার সুযোগ দেওয়া। এছাড়া, হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়।
এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২২ হাজারের কিছু বেশি মানুষ হজ পালন করেন। হজ ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের সমস্যা না হলেও মিনা-মুজদালিফায় হাজিদের তাঁবুতে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের ঘাটতি ছিল। বাংলাদেশি হাজিদের অনেক টয়লেটে পানি ছিল না। বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে ভোগান্তিতে পড়েন হাজিরা।
এছাড়া, এবার হাজিদের ৬৫টি লাগেজ (ট্রলি) পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়কে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। অন্যদিকে, মুজদালিফা থেকে মিনায় আসার পর হাজিদের জামারায় (শয়তানকে পাথর মারার স্থান) পাঠানো হয়। সৌদি পুলিশ হাজিদের তাঁবু আটকে রাখে। শয়তানকে পাথর মারার আগে কাউকে তাঁবুতে প্রবেশ করতে দেয় না সৌদি কর্তৃপক্ষ।
ফলে ৪০-৪৫ ডিগ্রি রোদে কয়েক কিলোমিটার হাঁটার পর বয়স্ক হাজিরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। কেউ কেউ মারাও যান। তাই, বয়স্ক হাজিদের মুজদালিফা থেকে মিনায় আসার পর তাঁবুতে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে পরে তারা বিকেলে পাথর মারতে পারবেন। এতে বয়স্ক হাজিরা অসুস্থ হবেন না। এ বিষয়গুলো সৌদি হজমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরে সমাধান চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আমন্ত্রণে রাজকীয় সৌদি আরব সরকারের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার রাতে বিশেষ বিমানে ঢাকায় এসেছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ