বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যাত্রাবাড়ীতে বিপন্ন প্রজাতির হনুমান পাচারের সময় গ্রেপ্তার ২ ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করিয়েছিলেন টিউলিপ: রিপোর্ট কামরুল-পলকসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেফতার বেনজীরের স্ত্রী ও মেয়ের আয়কর নথি জব্দের আদেশ ভৈরব থানার লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অবশেষে মায়ের বুকে ছেলে পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের অনশন বাঘাবাড়ী নৌবন্দর নাব্য সংকট, ভিড়তে পারছে না জাহাজ নিয়োগ দুর্নীতি : ওয়াসার তাকসিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা নির্বাচন সংস্কারে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের ১১ প্রস্তাব লন্ডনে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া ট্রাম্পের মানচিত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অঙ্গরাজ্য কানাডা ২০২৪ সালে সড়কে নিহত ৭ হাজারের বেশি : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযানের হুমকি তুরস্কের টিসিবির নতুন চেয়ারম্যান ব্রি. জেনারেল ফয়সাল আজাদ একনেকে ৪ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন ঢাকায় ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেন ডিএমপি কমিশনার বিডিআরের নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তির দাবিতে পদযাত্রায় পুলিশের বাধা রায়েরবাজারে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন আসিফ মাহমুদ

ট্রাকপ্রতি একশ থেকে ৫শ টাকা আদায় করে পুলিশ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ১১ মে, ২০১৯
  • ১৬৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(শরীয়তপুর)প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম-খুলনা মহাসড়কের শরীয়তপুর অংশে চলাচলকারী যানবাহন চালকদের কাছে ট্রাফিক পুলিশের প্রকাশ্য চাঁদাবাজি এখন বড় আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আংগারিয়া থেকে নরসিংহপুর পর্যন্ত মাত্র ৩৫ কিলোমিটার সড়কের অন্তত পাঁচটি স্পটে ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদা দিতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন চালকরা। মালিক ও চালকদের কাছ থেকে মাসিক চুক্তিতে অর্থ আদায়ের অভিযোগও রয়েছে সড়কের নিরাপত্তায় থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে একাধিক দিন মহাসড়কের একাধিক স্পটে ঘুরে ও গাড়িচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মনোহরবাজার, হিন্দুপাড়া স্কুলের মোড়, আংগারিয়া, রুদ্রকর ও বুড়িরহাট এলাকার অন্তত পাঁচটি স্পটে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পণ্যবাহী যানবাহন থেকে টাকা আদায় করে ট্রাফিক পুলিশ। অধিকাংশ সময় ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে এটিএসআই কুদ্দুস ও ট্রাফিক কনস্টেবল সুব্রত এ চাঁদা আদায় করে থাকেন। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রতিটি পণ্যবাহী ট্রাক থেকে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। বিশেষ করে দূরপাল্লার পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজির প্রধান টার্গেট।

চট্টগ্রাম-খুলনা সড়কের এই অংশ দিয়ে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ পণ্যবাহী যানবাহন যাতায়াত করে। জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের আওতায় রয়েছে আরও পাঁচ শতাধিক যানবাহন। যার প্রতিটিকেই দৈনিক বা মাসিক চুক্তির আওতায় ট্রাফিক পুলিশকে টাকা দিতে হয়।

কাভার্ড ভ্যানের চালক মো. দিদার মিয়া বলেন, আমার গাড়ির সব কাগজপত্র ঠিক আছে। এরপরও প্রতিবার যাওয়া-আসার সময় ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদা দিতে হয়। না দিলে কোনো না কোনো কারণ দেখিয়ে মামলা করবে। তাই হয়রানি থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে টাকা দেই।

police

স্থানীয় ট্রাকচালক আবুল হোসেন, রফিকুল ইসলাম ও সোবহান মাতবর জানান, তারা মালিক সমিতির মাধ্যমে প্রতিমাসে গাড়িপ্রতি ৫০০ টাকা করে দেন। বিনিময়ে তাদের গাড়িতে স্টিকার লাগিয়ে দেয়া হয়। এই স্টিকার দেখলে ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি থামায় না।

শরীয়তপুর ট্রাকচালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হাওলাদার বলেন, ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে মাসিক চুক্তি থাকে। মাসিক টাকা দিলে কাগজ বা লাইসেন্স না থাকলেও সমস্যা নাই। আর না দিলে কাগজ থাকলেও ঝামেলা করে।

এ ব্যাপারে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন বলেন, গাড়ি থেকে অবৈধভাবে ট্রাফিক পুলিশের টাকা আদায়ের একটি ভিডিও আমরা পেয়েছি। ইতোমধ্যে তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনায় যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধেই আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এলএ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com