বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক নগরীর ট্যাম্পাকো ফয়েলস কারখানার মালিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
তবে আদালত আদেশে বলেছেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও ক্ষতিপূরণের অর্থ দেয়া যাবে।
একইসঙ্গে কেন ট্যাম্পাকো দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা) ট্যাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেয়া ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
পরে ২১ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ বিষয়ে আজ আদেশের দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড. শরীফ ভূঁইয়া ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন। মালিকপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার।
উল্লেখ্য, ঈদুল আজহার আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর সকালে গাজীপুরের টঙ্গীর বিসিক শিল্পনগরীতে ট্যাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ থেকে আগুন ধরে যায়।
এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আজ পর্যন্ত ৩৯ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অর্ধ শতাধিক।
ট্যাম্পাকোতে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় কারখানার মালিক সিলেটে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মো. মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে।
এ দুর্ঘটনার পেছনে কর্তৃপক্ষের অবহেলার প্রমাণ পাওয়ার কথাও গাজীপুরের পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
কারখানাটির মালিকসহ আট কর্মকর্তাকে আসামি করে নিহত শ্রমিক মোহাম্মদ হোসাইন জুয়েলের বাবা আব্দুল কাদের পাটোয়ারী গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে একটি মামলা করেন।
মামলায় কারখানা মালিক মকবুলের স্ত্রী পারভিন,কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভির আহমেদ, মহাব্যবস্থাপক সফিকুর রহমান, ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মনির হোসেন, ব্যবস্থাপক (সার্বিক) সমির আহমেদ, ব্যরবস্থাপক হানিফ ও উপসহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস