বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ট্যাম্পাকো ফয়েলস কারখানার দুর্ঘটনায় নিহত আরও তিন শ্রমিকের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ১১টা, দুপুর ১২টা ও ১টার দিকে কারখানার ধ্বংসাবশেষ সরানো এবং উদ্ধার কাজে নিয়োজিত উদ্ধার কর্মীরা লাশ তিনটি উদ্ধার করেন।
নিহতরা হলেন- টঙ্গী হায়দরাবাদ এলাকার ইউসুফ পাটোয়ারীর ছেলে এবং কারখানার সিনিয়র অপারেটর নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, টঙ্গী গোপালপুর এলাকার সুলতান গাজীর ছেলে ও কারখানার স্কুটিং অপারেটর আনিসুর রহমান এবং ফরিদপুর বোয়ালমারি থানার বাহির নগর গ্রামের মোজাম মোল্লার ছেলে ও কারখানার শ্রমিক চুন্নু মোল্লা।
জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক মোঃ আক্তারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৭ দিন ধরে চলা উদ্ধার কাজে সরকারি হিসাব মতে এ পর্যন্ত ৩৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
টঙ্গীর বিসিক নগরীতে বিএনপির সাবেক সাংসদ মকবুল হোসেনের মালিকানাধীন ট্যাপাকো ফয়েলস লিমিটেড কারখানায় গত ১০ সেপ্টেম্বর ভোরে ভয়াবহ বিষ্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওই কারখানার বিশাল ভবনের অধিকাংশই ধ্বসে পড়ে বিশাল ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়।
ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৩৯ জন, ৪০ জন আহত ও ১১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ৩৩ জন এবং ৬ জনের পরিচয় এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ ১১ জনের স্বজনদের কাছ থেকে ডিএনএ- এর আলামত নেয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর গাজীপুর জেলা প্রশাসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, ফায়ার সার্ভিস, তিতাস গ্যাস, বিসিক, বিদ্যুৎ বিভাগ পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এদিকে দুর্ঘটনার ১৭তম দিনেও সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিস ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। সেনাবাহিনী ভারি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ধসে যাওয়া ভবনের বর্জ্যগুলো অন্যত্র সরাচ্ছেন।
এদিকে কারখানায় বিষ্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারখানার মালিক সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হেসেনকে প্রধান আসামি করে টঙ্গী মডেল থানায় এপর্যন্ত দুটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর কারখানা মালিকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের করেন নিহত শ্রমিক জুয়েলের পিতা আব্দুল কাদের।
পরে ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে টঙ্গী মডেল থানার এসআই অজয় চক্রবর্তী বাদী হয়ে কারখানা মালিকসহ ১০ জনকে আসামি করে দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন।
দুটি মামলা দায়ের হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস