বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: বল ট্যাম্পারিং করে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ক্যামেরন ব্যানক্রফট। কেপ টাউনে চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে আর সব ছাপিয়ে তাই এই বিষয়টিই বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঝড় তুলেছে ক্রিকেট বিশ্বে। পরে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ বল ট্যাম্পারিংয়ে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এমন অবস্থায় অস্ট্রেলিয়া সরকার স্মিথকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেয়। কেপ টাউনের নিউল্যান্ডসে চতুর্থ দিন নিজের রাজ্য বিসর্জন দিয়েই অবশ্য মাঠে নেমেছেন স্মিথ। নেতৃত্ব থেকে নিজেই সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। সহ-অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নারও। স্মিথের পরিবর্তে চলমান টেস্টের শেষ দুই দিন অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন টিম পেইন।
কেপ টাউনে চার ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের ঘটনা। ব্যানক্রফট হলুদ রঙের কিছু একটা দিয়ে বল ঘসছিলেন এবং এক পর্যায়ে সেটি তার ট্রাউজারের ভেতর লুকিয়ে ফেলেন। টেলিভিশন ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এর সবটা। অন-ফিল্ড আম্পায়ারদের চোখে সন্দেহজনক কিছু ধরা পড়ার সাথে সাথে খেলা থামিয়ে ব্যানক্রফটের কাছে সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। মাঠে বিষয়টি স্বীকার না করলেও পরে ঠিকই তা স্বীকার করেছেন ব্যানক্রফট। শনিবারই সংবাদ সম্মেলনে এসে অধিনায়ক স্মিথ জানিয়েছেন, সিনিয়র ক্রিকেটাররাও যুক্ত এই পরিকল্পনার সঙ্গে। বল ট্যাম্পারিং বরাবরই ক্রিকেটে স্পর্শকাতর ও অবৈধ ইস্যু। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশটির সরকারও তাই বড় বেশি চটেছে এই ঘটনায়।
আজ রোববার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাডারল্যান্ড জানান, ‘স্টিভ স্মিথ এবং ডেভিড ওর্য়ারের সঙ্গে আলোচনার পর তারা এই টেস্টে অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে রাজি হয়েছে।’ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টটির চতুর্থ দিনের খেলা এখন মাঠে গড়িয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস