কক্সবাজারে টেকনাফের নয়াপাড়ার মোচনী রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে আগুনে প্রায় তিন শতাধিক বসতঘর, স্কুল, গুদামঘর এবং দোকান পুড়ে গেছে। এ সময় আগুনে দগ্ধ হয়ে এক শিশু নিহত হয়েছে। শিশুটির পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। বসতঘর পুড়ে যাওয়ায় প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গা গৃহহীন হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া মোচনী নিবন্ধিত রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে পি-৩ ব্লকে আগুন লাগে। রাতে সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তাদের বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহযোগিতায় পার্শ্ববর্তী রোহিঙ্গা শিবিরগুলোর মসজিদ, মাদ্রাসা ও স্কুলসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
আগুন লাগার কারণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো খতিয়ে দেখছে
১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ কাউসার সিকদার বলেন, অগ্নিকাণ্ডে এক শিশু মারা যাওয়ার পাশাপাশি আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় জানা যায়নি। আগুন নেভাতে যাওয়া টেকনাফ- ২ বিজিবির একটি দল আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দুইটি ইউনিট অংশ নেয়।
মোহাম্মদ কাউসার সিকদার বলেন, নিবন্ধিত রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে পি-৩ ব্লকে এক ব্যক্তির বসতঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। মুহূর্তের মধ্যে তা আশপাশের অন্যান্য বসতঘর ও স্থাপনায় ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় এপিবিএন পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় রোহিঙ্গারা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দলনেতা মুকুল কুমার নাথ বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দুইটি ইউনিট অংশ নেয়। তবে তারা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয় রোহিঙ্গা ও এপিবিএন সদস্যদের চেষ্টায় আগুন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। পুড়ে যাওয়ার শিশুর মরদেহ এপিবিএন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ