কক্সবাজারের টেকনাফের শালবাগান পাহাড়ের ভেতর থেকে অপহৃত দুইজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় অপহরণ চক্রের দুই সদস্যকেও গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার (২১ জুলাই) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ।
গ্রেফতাররা হলেন-টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্ট্রার ক্যাম্পের আই ব্লকের সৈয়দ হোছনের ছেলে মো. সেলিম ওরফে ছলিম (৩৩) ও একই ব্লকের রশিদ আহমদের ছেলে মো. জসিম (১৯)।
অপহৃত ভুক্তভোগীরা হলেন- টেকনাফ শালবাগান ক্যাম্প-২৬ ব্লক এ/০৪ হাকিম আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম (১৮) ও টেকনাফ নয়াপাড়ার তজিলুর ইসলামের ছেলে হাসান মিস্ত্রি (৫০)।
ওসি জোবাইর সৈয়দ বলেন, শুক্রবার বিকেলের দিকে সাইদুল ইসলাম ও হাসান মিস্ত্রি নামের দুইব্যক্তি শালবাগান ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লেকের পাড় হতে লেকের পানি সরবরাহের লাইন মেরামতের কাজ করছিল। এ সময় অস্ত্রধারী অস্ত্রের মুখে তাদেরকে অপহরণ করে পাহাড়ের ভেতর নিয়ে যায়।
ঘটনাটি জেনে পুলিশ তাৎক্ষণিক টেকনাফ মডেল থানার পুলিশের কয়েকটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাহাড়ের ভেতর অভিযান চালায়। এরপর তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় পাহাড়টি ঘেরা করে ভিকটিমসহ অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এসময় আটকদের দেহ তল্লাশি করে মো. সেলিম ওরফে ছলিমের কাছ থেকে একটি এলজি ও একটি রাউন্ড কার্তুজ এবং মো. জসিমের কাছ থেকে একটি এলজি ও একটি রাউন্ড কার্তুজ পাওয়া যায়। এ সময় পুলিশ ডাকাতদলের আস্তানা থেকে কার্তুজের খোসা, লোহার শিকল, হেসকো ব্লেড, হাতুড়ি, প্লাস, রেত, স্ক্রু ড্রাইভার, টর্চ লাইট, স্প্রে ক্যান, ইলাস্টিক, সীসা’র তৈরি জালের গুলতি (গুটি) এবং নীল রং এর কাপড়ের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি উদ্ধার এবং অপহরণের ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা রুজু প্রক্রিয়ার চলছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে টেকনাফ থানা পুলিশ কাজ করছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি