বগুড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ দল। ৯ মে সোমবার রাত ৮টার দিকে শহরের মালগ্রাম এলাকার ডাবতলা নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত নাহিদ ঐ এলাকার মাছ ব্যবাসায়ী ধন্টু শেখের ছেলে। নাহিদ বগুড়ার শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
নিহত নাহিদের বন্ধু সিজু জানায় তারা ভিক্কু, মুক্তার, আপেলসহ ৮-১০ জন ডাবতলা এলাকার একটি ফাঁকা স্থানে বসে গেম খেলছিল ও টিকটক দেখছিল। এসময় একই এলাকার জুম্মন, কানসা মনিরসহ ১০-১২ জনের একটি দল এসে তাদেরকে গুলি করার ভয় দেখিয়ে নরাচরা করতে নিশেধ করে। এরপর তারা পেছন থেকে দা বের করে রবিনকে কোপ দেয় এসময় রবিন দৌড় দিয়ে পালাতে গেলে পাশের একিট গলির মধ্যে তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে পালিয়ে যায়। এরপর রবিনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
সিজুর বড় বোন ছাবিনা ইয়াসমিন বলেন তাকে বালু ব্যবসার জের ধরে হত্যা করেছে। এর আগে একই জায়গায় নাহিদ ও রবিন দুজনই বালু দেয়ার কথা ছিল। ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তাদের মধ্যে দন্দ ছিল।
স্থানীয়রা জানায় নাহীদ তেমন কোন কর্মের সাথে সম্পৃক্ত ছিলনা। ইতিপূর্বে একটি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। বর্তমানে বালু ব্যবসায় ও রাজনিতীর সাথে সম্পৃক্ত ছিল। এছাড়া সুদ ব্যবসাও করত সে।
এঘটনায় বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জুলফিকার রহমান শান্ত বলেন নাহিদ শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল। তার ছোট-ছোট দুটি সন্তান রয়েছে। সে আরো বলেন এরকম একজন ভদ্র ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে কঠোর শাস্তির দাবি করছি।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ কামাল হোসেন বলেন ঘটনার পর থেকেই আমাদের একাধিক টিম বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। এছাড়া ঘাতকদের গ্রেফতার করতে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ