বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণার পরের দিনই অফলাইন হয়ে গেল ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় চিনা অ্যাপ টিকটক। অ্যাপ খুললেই ভারতে এই অ্যাপ ব্লক সংক্রান্ত মেসেজ ভেসে উঠছে স্ক্রিনে। মঙ্গলবার থেকেই প্লে স্টোর এবং অ্যাপল স্টোর খুললেও আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সেলেব থেকে সাধারণের পছন্দের এই অ্যাপ।
খুব কম সময়ে ভারতবাসীর মনে জায়গা করে নেওয়া ভিডিয়ো শেয়ারিং এই অ্যাপ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল তারকাদের মধ্যেও। টলিপাড়ায় যে সমস্ত সেলেব এই অ্যাপের প্রেমে পড়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহান। ২০১৮-র ২ এপ্রিল টিকটক জয়েন করেন নুসরত। তাঁর আগুন ঝরানো নাচে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে ফলোয়ারের সংখ্যা। গতকাল অবধি নুসরতের টিকটকে অনুরাগীর সংখ্যা ছিল ১৪ লক্ষেরও বেশি। লাইকসের সংখ্যা প্রায় ৯৬ লক্ষ। টিকটক ব্যান হওয়া নিয়ে আনন্দবাজার ডিজিটালকে কী বলছেন তিনি?
নুসরতের কথায়: ‘‘আমার কাছে টিকটক আমার ফ্যানদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার একটা মাধ্যম মাত্র। যদি দেশের স্বার্থে এই অ্যাপ ব্যান করা হয় সে ক্ষেত্রে আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’’
তবে কিছু প্রশ্ন তুলেছেন নুসরত। কী সেগুলো? ‘‘ভারতে যে যে চিনা সংস্থা ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ করেছে, সে ক্ষেত্রে তাদের কী করা হবে? প্রধানমন্ত্রীর চিন সফর থেকে কী পেয়েছি আমরা?’’ নুসরত বলছেন, এই সবের উত্তর তিনি আজও পাননি। এখানেই থামেননি তিনি। তাঁর আরও প্রশ্ন, ‘‘যে সমস্ত মানুষ এই দেশে চিনা দ্রব্য আমদানি-রফতানি করেন তাঁদের কী হবে? এই দুঃসময়ে কি তাঁরা কাজ হারাবেন?’’
তবে নুসরত ফ্যানদের মন খারাপের কিছু নেই। তিনি কথা দিয়েছেন, টিকটকে না থাকলেও ইনস্টাগ্রামেই ফ্যানেদের সঙ্গে ভালবাসা ভাগ করে নেবেন।
নুসরতের মতো অতটা সক্রিয় না হলেও আর এক সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীও মাঝেমাঝেই টিকটকে পোস্ট করতেন ভিডিয়ো। টিকটক ব্যান নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনিও। যদিও টিকটক থাকা বা না-থাকা নিয়ে খুব একটা বিচলিত নন তিনি। আনন্দবাজার ডিজিটালকে মিমি বলছেন: ‘‘আমি নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলেছি। আমি এক জন পারফর্মার। আমার কাছে সব প্ল্যাটফর্মই সমান। তাই মাঝে মাঝে টিকটকে ভিডিয়ো পোস্ট করতাম। কাল যদি আরও চারটে অ্যাপ বন্ধ হয় দেশের জন্য তাতে আমার কোনও অসুবিধে নেই।’’
টিকটক চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে গিয়ে প্রাণহানি হয়েছে অনেকের। সে কথা মনে পড়তেই মিমি বললেন, ‘‘ভালই হয়েছে। যে অ্যাপ মানুষের ক্ষতি করেছে তা চিনের হোক বা ভারতের, বন্ধ হওয়াই কাম্য। তবে নুসরতের মতো মিমিও প্রশ্ন তুলেছেন, চিনা দ্রব্য বিক্রি ভারতে বন্ধ হলে তার পরিবর্তে সে রকম বড় কারখানা ভারতে আদৌ গড়ে উঠবে কি না? যে মানুষ চিনা পণ্য বেচাকেনার মাধ্যমে পেট চালান তাঁদের বিকল্প হিসেবেই বা কী ভেবেছে সরকার?
চিনা অ্যাপ নিয়ে কথা বললেও মিমি মনে করিয়ে দেন, দেশের যে সময় এখন চলছে সেখানে অ্যাপ নিয়ে এত আলোচনা নিতান্তই অপ্রাসঙ্গিক। তবে ভক্তদের মন খারাপ দূর করার জন্য ধরে নেওয়া হচ্ছে, এখন ইউটিউব আর ইনস্টাগ্রামে আরও বেশি সক্রিয় হবেন এই দুই তারকা-সাংসদ।
বাংলা৭১নিউজ/তথ্যসূথ্র: আনন্দবাজার