বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে টিআইবির প্রতিবেদনকে প্রত্যাখান করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বলেছেন, এটি ‘বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে’ একটি প্রতিবেদন।
দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থাটি এবার ৫০টি আসনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে। এর মধ্যে ৪৭টিতেই কোনো না কোনো কারচুপির অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়েছে তারা। এর মধ্যে ৩৩টিতে আগের রাতেই ভোট দেওয়ার তথ্য পেয়েছে তারা। মঙ্গলবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি জানায়, আসনওয়ারি বিস্তারিত গবেষণা প্রতিবেদন আসছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় বুধবার চট্টগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যে বক্তব্য-গবেষণার কথা বলে টিআইবি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে আর বিএনপির বক্তব্যের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে টিআইবি একটি প্রতিবেদন দিয়েছে মাত্র।’
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও তার শরিকরা ২৮৮টি, বিএনপি ও তার শরিকরা আটটি এবং দুটি আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যাদের একজন আওয়ামী লীগ এবং একজন বিএনপির সমর্থিত।
বিএনপি এই নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, আগের রাতে সিল মেরে এবং ভোটের দিন তাদের সমর্থকদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। টিআইবির প্রতিবেদনেও এই বিষয়টি উঠে এসেছে।
তবে আওয়ামী লীগ বলছে, নির্বাচন হয়েছে সুষ্ঠু। ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি-জামায়াত জোটের অপকর্মের কারণে জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সব সাধারণ নির্বাচনের মধ্যে ৩০ ডিসেম্বরের ভোট অপেক্ষাকৃত অনেক শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আর টিআইবির বেশিরভাগ প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ত্রুটিপূর্ণ, একপেশে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
‘বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে তারা প্রতিবেদন প্রকাশ করে, বলে তাদের গবেষণাপ্রসূত প্রতিবেদন। আমরা অতীতে দেখতে পেয়েছি, তারা যে গবেষণার কথা বলে, সে গবেষণাগুলো প্রকৃতপক্ষে কোনো সঠিক গবেষণা নয়।’
পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে কথিত দুর্নীতির তথ্য নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদনের প্রসঙ্গও তুলে ধরেনর হাছান। বলেন, ‘টিআইবিসহ বিভিন্ন সংস্থা পদ্মাসেতু নিয়ে দুর্নীতির কল্পকাহিনি সাজিয়েছিল। তাদের উচিত ছিল জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’
বাংলা৭১নিউজ/জেড এইচ