বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যশোরে মরুর উত্তাপ, দেশের সর্বোচ্চ ৪৩.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড ‘প্রবাসীদের সমস্যা আমার জানা, সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ দুদকের প্রথম নারী মহাপরিচালক শিরীন পারভীন ইসলামী ব্যাংকের কুমিল্লা জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত ২০ মে থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচিতে ৩৯ হাজার বই দিলো বিকাশ ফিলিস্তিনিদের ধাওয়া খেয়ে পালালেন জার্মান রাষ্ট্রদূত বৃক্ষরোপণে ন্যাশনাল গাইডলাইন্স প্রণয়নের নির্দেশ পরিবেশমন্ত্রীর বৃষ্টিতে সিলেটে বন্ধ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ গুচ্ছের ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫০৭৬০ সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠাই হোক মে দিবসের অঙ্গীকার দাবদাহে দ্বিগুণ সেচ খরচে দিশেহারা চাষিরা রেলওয়ের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় রাশিয়া ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে ৩৬ বছরে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪৩.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড মুন্সিগঞ্জে হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু বন্যা আতঙ্কে দ্রুত ধান কাটছেন হাওরের কৃষকরা ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকায় সড়ক নির্মাণ ভরিতে আরও ৪২০ টাকা কমলো সোনার দাম পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ

টাকায় স্বাধীনতার চেতনা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৯
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: জাতীয় স্বাতন্ত্র্যের অন্যতম প্রতীক মুদ্রা। প্রত্যেক দেশের মুদ্রার স্বকীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে। একটি দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, জাতির জনক, আন্দোলন-সংগ্রামের স্মৃতিচিহ্ন, দর্শনীয় স্থান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যসহ গৌরবের বিষয়গুলো মুদ্রায় তুলে আনা হয়।

বাংলাদেশের মুদ্রায়ও এ বৈশিষ্ট্যগুলো ফুটে উঠেছে। বিশেষ করে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের ‘মুক্তিযুদ্ধ’ চেতনা অত্যন্ত যত্নে চিত্রিত করা হয়েছে। ব্যাংক নোট, স্মারক মুদ্রা ও স্মারক ফোল্ডারে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতি ব্যবহার করে সেই ঐতিহাসিক মুক্তি-সংগ্রামের গৌরবগাথা নতুন প্রজন্মের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে।

স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সংবলিত মুদ্রার প্রচলন হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর বাজার থেকে এসব নোট ক্রমেই অদৃশ্য হয়ে যায়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার মুদ্রায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ব্যবহার করা হয়। ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট আবার ক্ষমতায় এসে এসব মুদ্রা পর্যায়ক্রমে বাজার থেকে তুলে নেয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে সব নোটে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংযোজন করে। বর্তমান বাজারে এসব নোট প্রচলিত আছে। বাজারে প্রচলিত প্রায় সব নোটেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি রয়েছে। ২০০৯ সালের আগে ছাপানো যেসব নোট বাজারে আছে সেগুলোয় বঙ্গবন্ধুর ছবি নেই। ২০১১ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক পর পর কয়েকটি ব্যাংক নোট ইস্যু করে যার মধ্যে ২ টাকা, ৫ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা এবং ১ হাজার টাকার নোট ছিল। এ নোটগুলোয় সামনের অংশের বামপাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুখমণ্ডলের প্রতিকৃতি এবং ডানপাশে ওই প্রতিকৃতির জলছাপ এবং মাঝখানে জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতির জলছাপ যুক্ত করা হয়। এরপর ২০১২ সালের ৭ মার্চ ১০ টাকা, ২০ টাকা এবং ৫০ টাকার ব্যাংক নোটেও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং জলছাপ ও মাঝখানে জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতির জলছাপ যুক্ত করা হয়।

পরিচিত এবং ব্যবহৃত এসব নোটের বাইরেও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বিভিন্ন সময় কিছু স্মারক নোট ইস্যু করা হয়। স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উপলক্ষে ১৯৯৬ সালে বের করা হয় স্মারক কয়েন। যার অভিহিত মূল্য ১০ টাকা এবং বিক্রয় মূল্য ছিল ৩ হাজার ৩০০ টাকা। এর সম্মুখভাগে রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি, অপর পিঠে আছে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি। ২০১১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৪০ টাকার স্মারক নোট বের করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নোটের সামনের অংশে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতি এবং অপর অংশে ছয়জন বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতিকৃতি যুক্ত করা রয়েছে।

আরেকটি বিশেষত্ব হচ্ছে, এতে ইলেক্ট্রোটাইপ ১০-এর জলছাপ রয়েছে যার অর্থ- ১০ টাকার অতিরিক্ত নোটগুলোর কাগজ দিয়ে এটি বানানো হয়েছে। গাঢ় লাল রং, কমলা রং এবং সবুজ রঙের সমাহারে বানানো এ নোটের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে যথাক্রমে ১২২ মি.মি. ও ৬০ মি.মি.। ২০১৩ সালের ২৬ জানুয়ারিতে ‘দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড’-এর ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক ২৫ টাকার স্মারক নোট বের করে। নীল, বেগুনি এবং লাল রঙের সমাহারে তৈরি এ নোটের সামনের দিকে রয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি, বাংলাদেশের পূর্ববর্তী টাকার ডিজাইন এবং ব্যবহৃত স্ট্যাম্পস, তিনটি হরিণ এবং একটি দোয়েল পাখির প্রতিকৃতি। এর অপর পৃষ্ঠে রয়েছে সিকিউরিটি প্রিন্টিং অফিসের হেডকোয়ার্টারের ছবি। আর এ নোটে ছিল ইলেক্ট্রোটাইপ ১০-এর জলছাপ, অর্থাৎ ১০ টাকা ব্যাংক নোটের অতিরিক্ত কাগজে এটি মুদ্রিত। দৈর্ঘ্য-প্রস্থে এটি যথাক্রমে ১২৩ মি.মি. এবং ৬০ মি.মি.।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, স্থান ও ঘটনাগুলোকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে বিভিন্ন সময়ে স্মারক মুদ্রা, নোট ও ফোল্ডার দেশীয় ও বিদেশীয়ভাবে মুদ্রণ করা হয়, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসসহ ব্যাংকের অন্যান্য শাখা অফিসের ক্যাশ বিভাগের নির্দিষ্ট কাউন্টার ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা থেকে সর্বসাধারণের কাছে নগদ টাকায় বিক্রি করা হয়। এসব স্মারক মুদ্রা ও নোট কোনোভাবে বিনিময়যোগ্য নয়। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বাংলাদেশে বেড়াতে এলে তাদের এসব মুদ্রা উপহার হিসেবে দেয়া হয়। দেশের সংগ্রামী ঐতিহ্যকে বিদেশিদের কাছে তুলে ধরার জন্যই এসব উপহার দেয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, স্মারক মুদ্রা বা ব্যাংক নোট দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী। এগুলোর মাধ্যমে একটি সময় ও অতীতকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা সম্ভব হয়।

বাংলা৭১নিউজ/এমআচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com