হবিগঞ্জে বৈশাখ মাস শুরুর আগেই ব্যাপক ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। প্রায় আধাঘন্টার ঝড়ে জেলার নয়টি উপজেলা ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে গেছে কয়েক লাখ মানুষ।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে দশটার দিকে জেলার অধিকাংশ এলাকায় প্রায় ৩০ মিনিট ধরে প্রবল ঝড় ও ৩০ মিনিট সময় ধরে বৃষ্টির সাথে ধমকা হওয়া বয়ে গেছে। এতে জেলা শহরসহ নয়টি উপজেলায় বিদ্যুতের অনেকগুলো খুঁটি ভেঙ্গে পড়েছে। গাছ ভেঙ্গে পড়েছে লাইনের উপর। অনেক এলাকায় ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, জেলায় কমপক্ষে ৩৫টি স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে পড়েছে। একটি স্থানে ট্রান্সফরমারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মজিদ জানিয়েছেন, জেলা শহরের ১০টি স্থান থেকে খুঁটি ভেঙ্গে পড়ার খবর এসেছে। একটি ট্রান্সফরমারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া আরও অনেক এলাকা ঝড়ে বিধ্বস্ত। লাইন মেরামতের কাজ চলছে।
হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মোতাহার হোসেন জানিয়েছেন, ঝড়ে জেলার নয়টি উপজেলায় প্রায় ২৫টি খুঁটি ভেঙ্গে পড়েছে। বিদ্যুৎ লাইনের অসংখ্য তার ছিড়ে পড়েছে। লাইনের উপর থেকে গাছ অপসারণ করা হচ্ছে। শায়েস্তাগঞ্জ, মাধবপুর, চুনারুঘাট, বাহুবল, হবিগঞ্জ সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ চালু হয়েছে। বাকী স্থানে চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামে গ্রামে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির।
রাতে হবিগঞ্জ শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে বিদ্যুৎ বিভাগের পাশাপাশি মাঠে নামেন নবনির্বাচিত পৌর মেয়র আতাউর রহমান সেলিম। সাথে ছিলেন পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস