বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: ইতালির জাতীয় নির্বাচনে প্রাথমিক ভোট গণনা থেকে ধারণা করা হচ্ছে দেশটিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হতে পারে। কারণ নির্বাচনে কোনো দল বা জোট একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। খবর বিবিসির।
৭৫ শতাংশের বেশি ভোট কেন্দ্রের ভোট গণনায় দেখা গেছে, তিনটি প্রধান দলের কোনোটিই এককভাবে দেশ শাসনের সক্ষমতা অর্জন করতে পারবেনা এটি একরকম নিশ্চিত।
ফলে ইতালির মূল ধারার সরকারে ফেরার সম্ভাবনা খুবই কম। নির্বাচনে ভোটাররা ডানপন্থি ও পপুলিস্ট পার্টিগুলোর দিকেই বেশি ঝুঁকেছে।
এক-তৃতীয়াংশ ভোট পাওয়া জনপ্রিয় দল ‘ফাইভ স্টার মুভমেন্ট’ এককভাবে জয়ী দল। কিন্তু অ্যান্টি-ইমিগ্রেশন লীগ মধ্য-ডানপন্থি জোটের অংশ হিসেবে সরকার গঠন করতে চাইছে।
এ পরিস্থিতিতে ইতালিতে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে কয়েক সপ্তাহের আলোচনা ও নতুন জোট গঠনের প্রয়োজন পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচনে অ্যান্টি-ইমিগ্রেশন কট্টর-ডানপন্থি লীগ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকনির দলের জোট পার্লামেন্টের নিম্মকক্ষের বেশিরভাগ আসন পাওয়ার পথে রয়েছে। লীগ নেতা মাত্তেও সালভিনি (৪৪) এবং ফাইভ স্টার নেতা লুইগি ডি মাইও (৩০) উভয়ই সোমবার তাদের সরকার গঠনের অধিকার আছে বলে দাবি করেছেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে সালভিনি বলেন, পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য তিনি অন্যান্য দলের সঙ্গে জোট গঠন নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী। সর্বশেষ প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, ফাইভ স্টার ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ, লীগ ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বেরলুসকনির দল ফরজা ইতালিয়া ১৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজির ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় বামপন্থি দল ডেমক্রাটিক পার্টি (পিডি) মাত্র ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, সোমবার ৭৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।
ইতালিতে এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় অভিবাসী ও অর্থনীতির বিষয়টিই প্রাধান্য পেয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে ছয় লাখের বেশি শরণার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লিবিয়া হলে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছেছে।
ইতালির বেশিরভাগ মানুষ শরণার্থীদের বিশাল এই বোঝা সহজভাবে নিচ্ছে না। বেরলুসকনি এইসব অবৈধ শরণার্থীকে ‘সামাজিক টাইম-বোমা’ বলে বর্ণনা করে তাদের গণহারে বিতাড়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস