গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সফল হয়েছেন ঝিনাইদহের কৃষকরা। বর্তমান উচ্চমূল্যের বাজারে পেঁয়াজ উঠাতে করতে পেরে খুশি কৃষকরা। এতে অস্থিতিশীল বাজারে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন এ পেঁয়াজ চাষ বৃদ্ধি পেলে চাহিদা মিটিয়ে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হতে পারবেন বলে মনে করছেন কৃষি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে জেলায় প্রণোদনার আওতায় সাড়ে তিন হাজার বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন এ পেঁয়াজের চাষ হয়। এরমধ্যে দুই হাজার বিঘা জমির পেঁয়াজ তুলতে শুরু করেছে। বাকি দেড় হাজার বিঘা জমির পেঁয়াজ ২০ থেকে ৩০ দিন পরেই সংগ্রহ শুরু হবে। চলতি মৌসুমে এক বিঘা জমিতে গড় ৪৫ থেকে ৫০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে।
৩ নভেম্বর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা কালুখালী মাঠে কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো. জাহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহবুব আলম রনি, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান মিয়া, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল হক ও তানিয়া শারমিন।
কালীগঞ্জ উপজেলা ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের কালুখালী গ্রামের কৃষক মো. কামরুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুমে এক বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন এন-৫৩ পেঁয়াজ চাষ করেছিলাম। দুদিনে ১৫ শতক জমি থেকে প্রায় ৩৫ মণ পিয়াজ বিক্রি করেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম রনি বলেন, চলতি মৌসুমে কালীগঞ্জ উপজেলায় ৪০ হেক্টর বা ৩০০ বিঘা জমিতে এ পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে। কিছু কিছু কৃষক পেঁয়াজ সংগ্রহ শুরু করেছেন। কৃষকরা জানিয়েছেন প্রতি বিঘা জমিতে ৬০ থেকে ৭০ মণ পেঁয়াজের ফলন হয়েছে। কিছু জমিতে কম আবার কিছু জমিতে বেশি ফলন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কৃষকরা যেন সারাবছরই পেঁয়াজের চাষ করে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে এজন্য গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ শুরু করা হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ বৃদ্ধি করা গেলে বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার আর সুযোগ থাকবে না।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো. জাহিদুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পেঁয়াজের অতিরিক্ত চাহিদা পূরণ করতেই গ্রীষ্মকালীন চাষ শুরু করেছে। আমরা চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে দুই ধাপে সাড়ে তিন হাজার কৃষককে পেঁয়াজ বীজ দিয়েছিলাম। যে পেঁয়াজ এখন উঠা শুরু করেছে। এতে কিছুটা হলে মানুষের চাহিদা পূরণ হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ