ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় কুকুরের কামড়ে শিশুসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। তাদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ঝিনাইদহ ও যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে কুকুর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সোমবার (১৯ জুন) সকালে কালীগঞ্জ উপজেলার রায়গ্রামে কামড়ানো শুরু করে। স্থানীয়রা কুকুরটিকে ধাওয়া করলে সেখান থেকে দৌড়ে কালীগঞ্জ পৌর শহরের বলিদাাপাড়া, নিশ্চিন্তপুর ও হেলাই গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন মানুষকে কামড়াতে থাকে।
হাসপাতালে ভর্তি শহরের বলিদাপাাড়ার রাখি বেগম নামে একক গৃহবধূ বলেন, সকালে আমি বাড়ির পাশে কাজ করছিলাম। হঠাৎ একটি কুকুর এসে আমার ওপর আক্রমণ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার হাত কামড়ে ধরে। আমি অনেক চেষ্টা করেও কুকুরটিকে ছাড়াতে পারছিলাম না। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় আমি মুক্ত হই।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কালীগঞ্জ পৌর শহরের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জিত কুমার কালু বলেন, বেলা ১১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসা মাত্রই একটি কুকুর আমার পায়ে কামড়ে ধরে। অনেক চেষ্টার পর ছাড়া পাই। কুকুরের কামড়ে আমার দুই হাতের ছয়টি আঙ্গুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পৌর শহরের সংরক্ষিত কাউন্সিলর শামছুন্নাহার বীনা বলেন, আমার এলাকায় প্রায় ১০ জনের মতো নারী পুরুষকে কুকুরে কামড়েছে। আমি তাদের হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসায় সহযোগিতা করেছি।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ইমরান হোসেন বলেন, কুকুরে কামড়ানো অবস্থায় দুপুর পর্যন্ত ১৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুকুরে কামড়ানোর চিহ্ন আছে। তাদের সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে।
সবাইকে বাড়িতে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। এছাড়া দুজনের কামড়ের আঘাত বেশি গুরুতর হওয়ায় তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। কুকুরে কামড়ানো রোগীদের জন্য হাসপাতালে পর্যাপ্ত ভ্যাক্সিন মজুত আছে।
এর আগে ৩০ মে জেলার শৈলকুপা উপজেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় পাগলা কুকুরের কামড়ে ১৪ জন জখম হন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি