বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সবাই একসঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা’ বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েন সৌদিতে সড়কে প্রাণ গেল ময়মনসিংহের দুই যুবকের, পরিবারে শোকের মাতম বিএনপিকর্মী মকবুল হত্যা: সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর কারাগারে প্রশাসন নিরপেক্ষ করতে ‘স্বৈরাচারের দোসরদের’ অপসারণ করুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল্লাহ শফিকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা বইমেলায় স্টলের জন্য আবেদন করা যাবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নতুন সূচি প্রকাশ ভারত থেকে ২৫ হাজার টন চাল আসছে বৃহস্পতিবার আইএসও/আইইসি ২৭০০১:২০২২ সনদ অর্জন করলো পূবালী ব্যাংক কলকাতার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন পি কে হালদার নিজ দেশে ফিরে যেতে রোহিঙ্গা মুফতি-ওলামাদের সমাবেশ ভিডিও: কাজাখস্তানে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে নিহত অন্তত ৪০ উপকূলীয় মানুষের নিরাপত্তা ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে কোস্টগার্ড দেখে নিন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কোথায়? ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগ, স্নাতক পাসেও আবেদনের সুযোগ

‘জয়ের স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে শফিক রেহমান গ্রেপ্তার ‘

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৬
  • ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা : প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগকে কাল্পনিক দাবি করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, জয়কে অপহরণ বা দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ মার্কিন আদালত আমলে নেয়নি। শুধু জয়ের ফেসবুকে দেওয়া একটা পোস্টের ওপর ভিত্তি করে সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এই দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলা ও শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, আমেরিকান নাগরিক রিজভী আহমেদ সিজারের বিরুদ্ধে আমেরিকান আদালতে যে মামলা হয়েছিল, তাতে ২০১১ সালে তিনি সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়ার লক্ষ্যে একজন এফবিআই এজেন্টকে তাঁর এক বন্ধুর মাধ্যমে এক হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন এবং কিছু নথি পেয়েছিলেন। তাঁর অপরাধ ছিল সরকারি কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়া এবং এফবিআই কর্মকর্তার অপরাধ ছিল ঘুষ নেওয়া ও বিনা অনুমতিতে সরকারি দলিল কোনো ব্যক্তিবিশেষকে হস্তান্তর করা।

এই মামলা চলাকালে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আদালতে যে প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছিল, তাতে ২০১৩ সালের ৯ মার্চ সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর ফেসবুকে যে বক্তব্য পোস্ট করেছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে রিজভী আহমেদ সিজারের দুটি উদ্দেশ্য উল্লেখ করা হয়। একটি হলো জয়ের জীবনযাপন ও দুর্নীতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া এবং অন্যটি তাঁকে অপহরণ ও দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা।

বিচার চলাকালে জয়ও নিজেকে ‘ভিকটিম’ দাবি করে অভিযোগ করেন, সিজার তাঁকে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ২০১৫ সালের ৪ মার্চ দেওয়া রায়ে জয়কে অপহরণ ও দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণযোগ্য ও যুক্তিগ্রাহ্য তথ্য না পেয়ে আদালত অভিযুক্ত রিজভী আহমেদ সিজারকে এই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন এবং জয়কে ‘ভিকটিম’ হিসেবে মানতে রাজি হননি। এ সময় ফখরুল ওই মামলার রায়ের কিছু অংশও তুলে ধরেন।

ফখরুল বলেন, মামলার রায়ে প্রমাণিত হয় যে রিজভী আহমেদ সিজার প্রকৃতপক্ষে জয় ও তাঁর মা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে বিব্রত ও দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে উপস্থাপনের প্রমাণ হিসেবে নির্ভরযোগ্য তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেছিলেন এবং কিছুটা সফলও হয়েছিলেন।

বিএনপির মহাসচিব দাবি করেন, শুধু জয়ের ফেসবুকে দেওয়া একটা পোস্টের ওপর ভিত্তি করে ঢাকায় পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে এফআইআর, গোপনে তদন্ত ও মামলা হয়েছে। মামলাকে ভিত্তিহীন দাবি করে ফখরুল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিচার হওয়া মামলার অভিযোগপত্র, আদালতে জমা দেওয়া সরকারের লিখিত প্রতিবেদন, অভিযুক্ত বা সাক্ষীদের কোনো জবানবন্দি, মামলার রায়, এমনকি ঢাকার রমনা থানায় করা এফআইআর বা পল্টন থানায় করা মামলার কোথাও সাংবাদিক শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান বা বিএনপির কোনো নেতার নাম উল্লেখ নেই।

অথচ শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে, মাহমুদুর রহমানকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। একই কাল্পনিক অভিযোগে দেশ-বিদেশে থাকা বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতাদের সম্পর্কে যথেচ্ছ অভিযোগ করে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, আমির মাহমুদ খসরু চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, সহ-দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি প্রমুখ।

বাংলা৭১নিউজ/এসএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com