জ্বালানি সনদ চুক্তি কোনোভাবেই জনগণের স্বার্থরক্ষা করবে না। এ সনদে সই করলে জ্বালানি রূপান্তর নীতি বাধাগ্রস্ত হবে। রাষ্ট্রও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) নেতারা।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
ন্যাপ বাংলাদেশের নেতারা বলেন, ইউরোপীয় কমিশনের সংশোধন প্রস্তাবকে ঘিরে তৈরি জ্বালানি সনদ চুক্তির আইনি কাঠামো অনেকটাই একপেশে ও ভারসাম্যহীন। এটা স্বাগতিক রাষ্ট্রের জন্য দ্বন্দ্ব নিরসনের নামে আইনি ফাঁদ। বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রের জন্য জ্বালানি সনদ চুক্তি সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।
তারা আরও বলেন, জ্বালানি সনদ চুক্তির মূল উদ্যোক্তা ছিল নেদারল্যান্ডস। তারাই এখন এ চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহারের চেষ্টা করছেন। তবে বের হয়ে যাওয়া খুব সহজসাধ্য নয়। তাই এ সনদকে জংলি সনদ বলা হয়। ১৯৯১ সালে ডাবলিনে এক সভায় ডাচ প্রধানমন্ত্রী এনার্জি কমিউনিটি গড়ার প্রস্তাব দেন।
ওই প্রস্তাবের হাত ধরে ইউরোপীয় জ্বালানি সনদ চূড়ান্ত হয়। চুক্তিটি ১৯৯৮ সাল থেকে কার্যকর হয়। বর্তমানে ৫৩ দেশ ও অর্থনৈতিক জোট চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু এখন অনেক দেশই এ চুক্তি থেকে বের হয়ে আসার কথা ভাবছে। এমন সময়ে বাংলাদেশের উচিত হবে না এ ধরনের কোনো সনদে স্বাক্ষর করা।
গ্যাসের দাম বাড়ায় জনজীবনে সংকট নামবে
পৃথক এক বিবৃতিতে ন্যাপ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও মহাসচিব ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে বিদ্যুতের পর এবার শিল্পখাতে আরও এক দফা প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সরকারি ঘোষণার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়েছেন।
তারা বলেন, ঘুস, দুর্নীতি, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনায় জনজীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণ না করে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। ফলে সব জায়গায় উৎপাদন খরচ বাড়বে। বাড়তি এ দামও সাধারণ মানুষের পকেট থেকে তুলে নেওয়া হবে। সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি। প্রকৃত আয় কমে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে গ্যাসের দাম বাড়ানোয় জনজীবনে আরও সংকট নেমে আসবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ