বাংলা৭১নিউজ,নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের উত্তরা গণভবনে পর্যটন সুবিধা বৃদ্ধির জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ নিয়ে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের সভাপতিত্বে প্রেস ব্রিফিং হয়।
প্রেস ব্রিফিং এ জানানো হয়, ১৭৩৪ সালে মোঘল ও ইউরোপীয় স্থাপত্যের মিশেলে নির্মিত এবং ১৯০৮ সালে পুননির্মিত দিঘাপতিয়া রাজপ্রাসাদে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী রাত্রি যাপন করেন এবং সেসময়ে এই নান্দনিক ও সুরক্ষিত প্রাসাদকে উত্তরা গণভবন হিসেবে ঘোষণা করেন। ১৯৬৬ সালে অধিগ্রহণ করা এই গভর্ণর হাউজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০১২ সালে প্রবেশ ফির বিনিময়ে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
গণপূর্ত বিভাগের দায়িত্বে থাকা ৪১ একর আয়োতনের এই নয়নাভিরাম প্রাসাদের লেকের পার এবং বেশিরভাগ অংশ জঙ্গলে আচ্ছাদিত থাকায় পর্যটকরা তা পরিদর্শন করতে পারত না। এই রাজবাড়ির ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন অনিয়ম, অযতœ ও অবহেলার কারণে গত সেপ্টেম্বরে অবৈধভাবে শতবর্ষী গাছ কাটার ঘটনা উন্মোচিত হওয়ায় নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমকর্মী এই ঐতিহাসিক স্থাপনা রক্ষার দাবি করেন। সেই ফলশ্র“তিতে জেলা প্রশাসন উত্তরা গণভবনে পর্যটন বৃদ্ধির জন্যে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করে।
উত্তরা গণভবনের মূল স্থাপত্যশৈলী ঠিক রেখে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সৌন্দর্য্য বর্ধন, রাণীমহল, মিনি চিড়িয়াখানা, গ্র্যান্ডমাদার হাউজ প্রাঙ্গণ সং¯কার করে বাগান তৈরী, রাজবাড়ির সম্পত্তি উদ্ধার ও ট্রেজারী ভবনকে সংগ্রহশালা স্থাপনের উপযোগী করে সংগ্রহশালা স্থাপন, রাজবাড়ির সম্পত্তি সংরক্ষণের স্থায়ী ব্যবস্থা, পর্যটকদের জন্য লোকেশন ম্যাপ, ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ তৈরী করলে বর্তমানের তুলনায় উত্তরা গণভবনে পর্যটকদের ব্যাপক সমাগম ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করে জেলা প্রশাসন। সেই সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণ এবং নাটোর জেলা উত্তরবঙ্গের পর্যটন হাব-এ পরিণত হওয়ার সাথে সাথে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবন মানের উন্নয়ন হবে।
প্রেস ব্রিফিং-এ আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুনিরুজ্জামান ভুঞাঁ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ড. চিত্রলেখা নাজনীন, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর অনিন্দ্য মন্ডল, নাটোর প্রেস ক্লাবের সভাপতি জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস