বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিব থেকে জেরুজালেম শহরে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সরানোর বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্বিত হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করা হবে কিনা, তা নিয়ে ওয়াশিংটন সময় অনুযায়ী সোমবারই সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা ছিল ট্রাম্পের। ১৯৯৫ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যেক প্রেসিডেন্টকে প্রতি ছয় মাস অন্তর এ সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র হোগান গিডলে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট শুরু থেকেই এ বিষয়টি নিয়ে অবগত আছেন। এটি ঘটবে কিনা- সেটা প্রশ্ন নয়, বিষয় হলো কখন ঘটবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে না। আসন্ন দিনগুলোতে এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত প্রকাশ করব।’
জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের স্বীকৃতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
বিবদমান শহরটিকে কোনো মর্যাদা দেয়ার সিদ্ধান্ত অবশ্যই ‘ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার আলোচনার ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে হতে হবে’ বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার ম্যাক্রোঁ টেলিফোনে ট্রাম্পের সঙ্গে এসব কথা বলেছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এলিসি প্রাসাদ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে বলে যে সম্ভাবনার খবর বের হয়েছে, তাতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।’
ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘ইসরাইল ও ফিলিস্তিন দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে শান্তি-সমঝোতার মধ্যে থেকে জেরুজালেমের স্বীকৃতির বিষয়টি সমাধান করতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র সৌদি আরব জানিয়েছে, ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাতের সমাধান না করে জেরুজালেমকে স্বীকৃতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ঘোষণা দিলে তা শান্তি প্রক্রিয়াকে ভণ্ডুল করবে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়বে।
সোমবার এক বিবৃতিতে সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালিদ বিন সালমান বলেন, জেরুজালেমকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দিলে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি আলোচনা প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হবে এবং এ অঞ্চলের উত্তেজনা আরও বাড়বে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সৌদি আরবের নীতি অনুসারে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে এবং মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের আলোচনাও অব্যাহত রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস