বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক : ইয়াওমুল জুমআ বলতে জুমআর দিন বা শুক্রবারকে বোঝায়। এ দিনের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক বেশি। হাদিসের বর্ণনা মতে, সপ্তাহের অন্যান্য দিনের চেয়ে শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদার দিক থেকে জুমআর দিন অনেক মর্যাদাবান একটি দিন।
এ দিনের রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত। যার বর্ণনায় রয়েছে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনেক উপদেশ। জুমআর দিনের মর্যাদা ও প্রাপ্তি নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস তুলে ধরা হলো-
عَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رَسُول الله ﷺ: «مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الوُضُوءَ، ثُمَّ أَتَى الجُمُعَةَ فَاسْتَمَعَ وَأنْصَتَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْن الجُمُعَةِ وَزِيادَةُ ثَلاثَةِ أيَّامٍ، وَمَنْ مَسَّ الحَصَا فَقَدْ لَغَا». رواه مسلم
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (জুমআ’র দিন) গোসল করে জুমআ’র নামাজ পড়ার জন্য আসে।
অতঃপর তার ভাগ্যে যত রাকাআত নামাজ ছিল; তা সে আদায় করে। (যত রাকাআত সম্ভব পড়ল)
অতঃপর ইমাম সাহেবের খুৎবা শেষ হওয়া পর্যন্ত চুপ থাকে (মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শুনে)
এবং তাঁর (ইমামের) সঙ্গে জুমআর নামাজ (যথাযথ) আদায় করে;
তার (নামাজ আদায়কারীর) জন্য দুই জুমআর মধ্যবর্তী (ছয়) দিনের এবং অতিরিক্ত আরো তিনদিনের গোনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে।’ (মুসলিম)
পরিশেষে…
হাদিসের তথ্যমতে বোঝা যায় যে, জুমআর দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য অনেক মর্যাদা ও গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এ দিন পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে জুমআর নামাজের বয়ান শুরু হওয়ার পূর্বেই মসজিদে উপস্থিত হওয়া একান্ত আবশ্যক।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন ইয়ামুল জুমআয় নিয়মিত অধিক পরিমাণে নামাজ পড়ার এবং খুৎবা শোনার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস