বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা : বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধি সরিয়ে ফেলতে সরকার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সকালে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শেরেবাংলা নগরে জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এ সময় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন, বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভাপতি শামা ওবায়েদ, কৃষক দলের শাহজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে চেষ্টা করছে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়কদের বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক জিয়াউর রহমানের নাম বাংলাদেশের মাটি থেকে মুছে ফেলতে। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা কখনও সফল হবে না।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের নাম এদেশের মানুষের হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে। কোনো ষড়যন্ত্র তাকে বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। সুতরাং মাজার বলুন, পদক বলুন, অন্য কিছু বলুন তাদের হটকারি এ সিদ্ধান্ত দেশের মানুষ মেনে নেবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘হঠাৎ করে সংসদ ভবন নিয়ে লুই আই কানের নকশা আনা এটা একটি নীলনকশা। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, জিয়াউর রহমানকে মুছে ফেলা। কিন্তু তা সফল হবে না।’
খালেদা জিয়ার মামলা ও বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনে যেমন বিরাজনীতিকরণের ষড়যন্ত্র হয়েছিল, সেটাকে এ সরকার ধারণ করে বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া শুরু করার চেষ্টা করছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে, যিনি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরানোর ষড়যন্ত্র করছে। দেশের জনগণ তাদের এ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠু করার কোনো যোগ্যতা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের নেই। শুধুমাত্র কর্মীদের উজ্জীবিত করতেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি।’
বাংলা৭১নিউজ/এম