বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র মানে স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়া ও যুদ্ধাপরাধীদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। এটা জনগণের গণতন্ত্র নয়, যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসনেরই নামান্তর মাত্র। যে কারণে বাংলাদেশ এগোতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ যে সম্মান পেয়েছিল, সেটা ভূলুণ্ঠিত হয়ে যায়।’
বুধবার বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন প্রমুখ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের দিনে জাতির পিতার প্রতি আমরা সেই ওয়াদা দিচ্ছি, কথা দিলাম–বাংলাদেশকে তার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ, আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবো। ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করবো। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্ব দরবারে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। সেই দেশ আমরা গঠন করবো, সেই ওয়াদা জাতির পিতার কাছে।’ এ সময় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উন্নয়ন কাজ ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে প্রথমে মোশতাক তারপর জিয়া ক্ষমতায় আসে। মীরজাফরের বংশধর মোশতাকের মতো গাদ্দার এই মাটিতেই জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশের মাটি এত উর্বর; জাতির পিতার নিজেরই কথা–এই উর্বর মাটি যেমন ফসলের জন্ম দেয়, তেমনি আগাছারও জন্ম দেয়। জাতির পিতা সবসময় এই কথা বলতেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ আবার অন্ধকারে হারিয়ে যায়। জাতির পিতার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। ৭ মার্চের ভাষণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও ইতিহাস বিকৃতি করে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাঁথা মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হয়। বাংলাদেশের মানুষকে একটা বিভ্রান্তিতে ফেলা হয়। প্রচার করা হয় বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছে জিয়া।’
ওই বহুদলীয় গণতন্ত্রের আড়ালে কী ছিল তার ব্যাখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র মানে যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন করা, স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতির সুযোগ দেওয়া, আর যুদ্ধাপরাধীদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। এটা জনগণের গণতন্ত্র নয়। এটা যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসনেরই নামান্তর মাত্র।’
বাংলা৭১নিউজ/জেএস