বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার দুই আসামি ব্যবসায়ী সলিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে তাদের হাজির করা হয়।
এরই মধ্যে রায়কে ঘিরে দেশজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় জোরদার করা হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানিয়েছেন, ১০টার দিকে খালেদা জিয়া বকশিবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
এই মামলার প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন এবং তিনতিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ফলে দেশবাসীর আগ্রহ অন্যরকম। মামলার রায়ে কী হবে! সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সত্যিই কি সাজা হবে? সাজা হলে, তার ধরন কী হতে পারে? এমন সব প্রশ্ন নিয়েই জাতি তাকিয়ে আছে খালেদার রায়ের দিকে।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলার সার সংক্ষেপ
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করা হয় ২০০৮ সালের ৩রা জুলাই, সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। মামলার মূলে রয়েছে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে পাওয়া টাকা ট্রাস্টে না রেখে আত্মসাৎ করার অভিযোগ।
তদন্ত শেষে ২০০৯ সালে অভিযোগ পত্র দেয়া হলেও, মামলার অভিযোগ গঠন করা হয় ২০১৪ সালের মার্চ মাসে।
মিসেস জিয়া ছাড়াও, আসামীর তালিকায় আছেন তার ছেলে তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকীসহ কয়েকজন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরো ৩৫টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে চারটি দুর্নীতি সংক্রান্ত।
খালেদা জিয়ার মামলার রায় কয়েক ঘন্টার মধ্যেই
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায় আজ ঘোষণা করা হবে।
প্রায় ১০ বছর আগে, ২০০৮ সালের জুলাই মাসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্বে থাকার সময় এই মামলাটি করেছিল বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন।
খালেদা জিয়াসহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩রা জুলাই ঢাকার রমনা থানায় মামলাটি করেছিলো দুর্নীতি দমন কমিশন।
সেখানে অভিযোগ করা হয়, এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে পাওয়া ২ কোটি ১০ লাখ টাকা ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দেয়া হলেও, তা এতিম বা ট্রাস্টের কাজে ব্যয় করা হয়নি। বরং সেই টাকা নিজেদের হিসাবে জমা রাখার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার মামলার রায় দেয়ার কথা রয়েছে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই।
রায় নিয়ে উদ্বেগ
বিএনপি’র নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মামলার রায়কে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে এক ধরনের চাপা উদ্বেগ তৈরি করেছে। রায়ের দিন সম্ভাব্য সহিংসতার আশংকায় দেশজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাজার হাজার সদস্য মোতায়ের করা হয়েছে। ঢাকামুখি পরিবহনগুলোতে তল্লাশির পাশাপাশি বাড়তি তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে পুলিশ ও র্যাব।
খালেদা জিয়ার অভিযোগ তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা হচ্ছে
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট নামে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের তহবিল আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এক মামলার রায়ের আগের দিন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন, তাকে রাজনীতি এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য আদালতকে ব্যবহার করার চেষ্টা হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ