মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এখানে (সংলাপে) নিবন্ধনের বাইরে বোধ হয় কারো আসার সুযোগ নেই।”
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী ধর্মভিত্তিক দল জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাই কোর্ট দলটিকে ‘নির্বাচনের অযোগ্য’ ঘোষণার পাঁচ বছর পর সোমবার নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেন গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন। এই জোটে বিএনপি ও গণফোরামের সঙ্গে আছে জেএসডি ও নাগরিক ঐক্য।
নতুন এই জোটের নেতা ও সংবিধানপ্রণেতা কামাল এরই মধ্যে বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও বহুমাত্রিক সমাজ’ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাওয়াই তার লক্ষ্য। বিএনপির সঙ্গে জোট করলেও জামায়াতে ইসলামী ও তারেক রহমানের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের কোনো সম্পর্ক নেই।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে চিঠি দেন কামাল হোসেন।
এই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে ‘সংবিধানসম্মত সকল বিষয়ে’ সংলাপে বসতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
জামায়াতের কোনো প্রতিনিধিকে ঐক্যফ্রন্ট প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে নিলে বিষয়টি কীভাবে দেখবেন- সেই প্রশ্নে কাদের বলেন, “এটা কোনো প্রকার ব্যত্যয় ঘটবে বলে আমার মনে হয়। ড. কামাল হোসেন সাহেব তো প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি তো কিছু দিন আগে বলেছেন জামায়াতের সঙ্গে আমি নেই। বলেছেন না? তিনি কি করেন দেখি।”
ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার দলেরও নিবন্ধন নেই বলে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পর কাদের বলেন, “তিনি (ড. কামাল) কাকে সঙ্গে আনবেন না আনবেন তা তার হাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
“খোলামেলা পরিবেশেই আলাপ-আলোচনা হবে, তা না হলে তো আমরা ডিনারের ব্যবস্থা করতাম না। খোলামেলা পরিবেশেই আমরা আলোচনা করব।”
ঐক্যফ্রন্ট ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের আর কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
বাংলা৭১নিউজ/এস এইস