বাংলা৭১নিউজ,(জামালপুর)প্রতিনিধি: জ্বর ও কাশির উপসর্গ নিয়ে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় মালয়েশিয়া ফেরত এক ব্যক্তিকে তার বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তাকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও তার করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে জামালপুরের বাসিন্দাদের মধ্যে।
জামালপুরে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত না হলেও জেলা প্রশাসন ও জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ ১০০ শয্যার একটি কোয়ারেন্টাইন ভবন প্রস্তুত রাখার জন্য চিহ্নিত করে সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়া ফেরত ওই ব্যক্তির নাম মো. আলতাফুর রহমান (৪৫)। মেলান্দহ উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের চিনিতোলা গ্রামের মৃত সিরাজ মণ্ডলের ছেলে তিনি। ৮ মার্চ তিনি মালয়েশিয়া থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন বেলা ১১টার দিকে। এ সময় তার শরীরে জ্বর ও কাঁশির ছিল। ওই দিনই তিনি ঢাকা থেকে সরাসরি মেলান্দহের বাড়িতে আসেন।
আলতাফুর রহমান ৯ মার্চ সকালে জ্বর ও কাশির চিকিৎসা নিতে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে যান। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিহাব উদ্দিন তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন এবং বিদেশ ফেরত হিসেবে বাড়িতে পরিবারের কোনো সদস্যের সংস্পর্শ ছাড়াই অন্তত দুই সপ্তাহ আলাদা ঘরে থাকার পরামর্শ দেন।
মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. ফজলুল হক বলেন, স্বাস্থ্য সহকারী আবু হাসান মাসুদকে মালয়েশিয়া ফেরত আলতাফুর রহমানের বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। তার শরীরে সামান্য জ্বর এবং কিছুক্ষণ পরপর কাশি হলেও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার মতো অন্য কোনো উপসর্গ তার শরীরে পাওয়া যায়নি। তারপরও তিনি যেহেতু বিদেশ ফেরত এবং তার শরীরে জ্বর ও কাশি রয়েছে, তাই তাকে আমাদের স্বাস্থ্য সহকারীর উপস্থিতিতে বাড়িতেই আলাদা একটি কক্ষে কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিন একজন করে স্বাস্থ্যকর্মী তার পর্যবেক্ষণে থাকবেন। মালয়েশিয়া থেকে আসা এই ব্যক্তির সম্পর্কে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী তার বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জামালপুরের সিভিল সার্জন চিকিৎসক গৌতম রায় জানান, জেলার মেলান্দহে মালয়েশিয়া ফেরত একজনকে তার বাড়িতেই স্বাস্থ্যকর্মী পাঠিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার সামান্য জ্বর ও কাশি রয়েছে শুনেছি। তবে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। আমরা তাকে সার্বিক পর্যবেক্ষণে রেখেছি। এছাড়া করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে আর কাউকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়নি। জেলায় এখনও কোনো ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা যায়নি।
বাংলা৭১নিউজ/জেআই