বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: রাজধানীর শ্যামলীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির মামলায় আসামি পান ব্যবসায়ী সুমির (৩৭) জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার সুমির পক্ষে আইনজীবী ইদ্রিস আলী জামিন আদেন করেন। শুনানিতে তিনি সুমির ২২ মাসের শিশু সন্তানের রয়েছে জানিয়ে মানবিক দিক বিবেচনার করে জামিন মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। অপরদিক রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধীতা করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সুব্রত ঘোষ শুভ আসামি জামিন আবেদন নাকচ করেন।
আদালত সূত্র জানায়, এর আগে বুধবার এক দিনের রিমান্ড শেষে মামলার প্রধান আসামি ফুটপাত দোকানী মো. শাওন ব্যাপারীকে (২৫) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল মামলার দুই আসামি শাওন ও শিশু কণ্যাসহ সুমিকে আদালতে হাজির করে শাওনের রিমান্ড ও সুমিকে কারাগরে আটক রাখার আবেদন করা হয়। ওই দিন শুনানি শেষে শাওনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ও শিশু কণ্যাসহ সুমিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। শেরেবাংলা নগর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করছেন।
সূত্র আরও জানায়, চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল সকাল পৌনে ১২টার দিকে জাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী শ্যামলীর দুই নম্বর রোডের ফয়সাল টাওয়ারের সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন। এ সময় আসামি শাওন ওই ছাত্রীকে দেখে শিষ বাজায়।
ওই সময় শিষ বাজানের কারণ জানতে চাইলে আসামি শাওন ওই ছাত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। অপর আসামি সুমি ওই ছাত্রীর চুলের মুঠি ধরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাথিসহ মারধর করেন। এরপর আরও অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চার জন আসামি এসে বাদীকে টানা-হেঁচড়া করে এবং শ্লীলতাহানী করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর এক শিক্ষার্থী এগিয়ে এসে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় ওই দিনই ভুক্তোভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরর পর অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস