জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে ডিবি ও সিআইডি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে।
আরিফ সোহেলের পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাত পৌনে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ডিবি ও সিআইডি পুলিশ পরিচয়ে ৮-১০ জন লোক আরিফ সোহেলকে তুলে নিয়ে যায়।
আরিফ সোহেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের (৪৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী। তিনি পরিবারের সঙ্গে থাকেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আরিফ সোহেলের বাবা মো. আবুল খায়ের জানান, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ৮-১০ জন লোক বাসার নিচে এসে গেটে নক করেন। তার বড় ছেলে মোহাম্মদ আলী জুয়েল নিচে নেমে গেট না খুলে তাদের পরিচয় জানতে চান। একপর্যায়ে জুয়েল বাবাকে ডাকেন। ঘুম থেকে উঠে আবুল খায়ের নিচে গেলে ওই লোকজন তাকে গেট খোলার অনুরোধ জানান এবং আরিফের পরিবারের সঙ্গে চা খাবেন বলে জানান।
এ সময় আবুল খায়ের তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তাঁরা নিজেদের ডিবি ও সিআইডি পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেন। পরে তালা খুলে দিলে বাসার দ্বিতীয় তলায় এসে প্রথমে সকলের মুঠোফোন নিয়ে নেন। তারা পাসওয়ার্ড নিয়ে জুয়েলের কম্পিউটারের বিভিন্ন ড্রাইভ চেক করে বেশ কয়েকটি ছবি তোলেন। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আরিফ সোহেল ও জুয়েলের সঙ্গে কথা বলবেন জানিয়ে তৈরি হতে বলেন। পরে আরিফ ও জুয়েলকে তাদের সঙ্গে নিয়ে যান।
আবুল খায়ের আশুলিয়া থানা, সাভার মডেল থানা ও সাভারে ঢাকা জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি (উত্তর) কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে সন্তানদের সন্ধান পাননি। পরে বড় ছেলে জুয়েল মোবাইল ফোনে কল করে জানান, তাকে গেন্ডা এলাকায় নামিয়ে দিয়ে শুধু আরিফকে নিয়ে গেছেন।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, জাবি শাখার কোনো সমন্বয়ককে তাদের থানায় আনা হয়নি। কাউকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে তাদের কাছে তথ্য নেই।
ঢাকা জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবির (উত্তর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিবি পরিচয়ে রাতে কাউকে তুলে আনার বিষয়টি তার জানা নেই। এমন কাউকে তারা আটক বা গ্রেপ্তার করেননি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএন