বাংলা৭১নিউজ, নাজিম বকাউল, ফরিদপুর প্রতিনিধি: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০১৯ ফরিদপুর-আসন-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৪ জন।
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সংগঠনিক সম্পাদক ও বর্ষীয়মান নেতা কেএম ওবায়দুর রহমানের একমাত্র কন্যা শামা ওবায়েদ রিংকু, তিনি পিতা ওবায়দুর রহমানের উত্তরসুরী হিসেবে ফরিদপুর-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। রিংকুর রয়েছে পিতার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও নিজস্ব দক্ষতার বলে এলাকায় ব্যাপক সুপরিচিতি।
মশিউর রহমান জাদু মিয়া- তিনি ফরিদপুর জেলা জাকের পার্টির সভাপতি। তারও রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। সাম্প্রতিক সালথা-নগরকান্দায় সন্ত্রাস বিরোধী আন্দোলন করে সুপরিচিত হয়েছে। মশিউ রহমান জাদু মিয়া একজন সমাজ সেবক ও তরুন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। জাকের পার্টির চেয়ারম্যান আলহাজ মোস্তফা আমীরের নিদের্শে নগরকান্দা-সালথায় ব্যাপক গণসংযোগ করে যাচ্ছেন।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী-নগরকান্দা-সালথা ফরিদপুর-২ আসনের বর্তমান এমপি ও সংসদ উপনেতা রাজনীতিবিদ হিসেবে তার রয়েছে ব্যাপক অভিজ্ঞতা ও পরিচিতি। ১৯৯৬ সালে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী হয়ে নগরকান্দা-সালথায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ব্রীজ ও সালথাকে উপজেলায় রূপান্তিত করা।
এত উন্নয়ন করার পরও তার বর্তমান অবস্থা খুবই নাজুক। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর পুত্র আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলুর অত্যাচারে এলাকাবাসীসহ দলীয় লোকজনরা চরম ভাবে নাখোস। তার অত্যাচারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতন, মামলা, হামলা, টেন্ডারবাজীসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যা বাবলু চৌধুরী করেন নাই। তিনি মামা বাহিনী নামে নগরকান্দা-সালথায় একটি গ্রুপ তৈরী করেছেন। তাদের ভয়ে সাধারণ জনগণ কোনো কথা বলতে সাহস করে না। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী এই মামা বাহিনীর ভয়ে সালথা-নগরকান্দা ছেড়ে অন্যত্র বাসবাস শুরু করেছে। এসকল কর্মকান্ডে দলীয় নেতাকর্মীরা নিরব ভূমিকা পালন করছে।
জামাল হোসেন মিয়া- সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সাবেক এপিএস ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পরিচালক ও নগরকান্দা উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতা- তিনিও ফরিদপুর-২ আসন (নগরকান্দা-সালথা) থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবেন বলেন ঘোষনা দিয়েছেন এবং গণসংযোগ করে বেড়াচ্ছেন।
ফরিদপুরের-২ আসন (নগরকান্দা-সালথা) আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০১৯, চর্তুমুখী লড়াই হবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস