বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অসাম্প্রদায়িক চেতনা বর্তমান নব্য সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধেও এক চিরসজীব প্রতিবাদ।
তিনি বলেন, একবিংশ শতকেও যাঁর প্রাসঙ্গিকতা কেবল ইতিহাস পাঠই নয়, বর্তমান সাংস্কৃতিক সংকট অতিক্রমণের কাক্সিক্ষত পথের নির্দেশকও।
মঙ্গলবার উত্তরা ক্লাবের লোটাস লাউঞ্জে ‘একুশ শতকে নজরুল’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং ভারতের আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগিতায় উত্তরা ইউনিভার্সিটি এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, নজরুল গবেষক ও এমেরিটাস অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক ড. বরুণকুমার চক্রবর্তী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার মোঃ নাসিরউদ্দিন, ভারতের আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বেলা দাস, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুব হোসেন ও কবি পৌত্রী খিলখিল কাজী।
উত্তরা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে ‘একুশ শতকে নজরুল’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।
গবেষণা ও শিক্ষামূলক আন্তর্জাতিক মানের এ সম্মেলন আয়োজনের জন্য তথ্যমন্ত্রী আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় কবি তথা অখ- বাংলার কিংবদন্তি সাহিত্যিক কাজী নজরুল সাহিত্য, সঙ্গীত এবং ব্যক্তি জীবনের কর্মমুখরতায় এ ভূখ-কে ঋদ্ধ করেছেন।
তিনি বলেন, তাঁর গান, কবিতা, গল্প, উপন্যাসে শিল্প মাধুর্য যেমন প্রকাশিত তেমনি তাতে অসাম্প্রদায়িক চেতনাও জাগ্রত।
ইনু বলেন, জাতীয় কবির প্রতিভার সর্বাপেক্ষা গৌরবের দিকটি হলো, তাঁর ব্যক্তি ও সমষ্টির নির্বিরোধ মিলন।
বিদ্রোহী কবি হিসেবে বাংলার সাহিত্যে তাঁর স্থান অমর হয়ে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রাবন্ধিকের প্রবন্ধের মাধ্যমে নজরুলকে নতুনভাবে জানা যাবে এবং বিদ্রোহী কবিকে নিয়ে গবেষণার নতুন নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি হবে।
সম্মেলনের আরো বক্তৃতা করেন বাংলাদেশের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সফিকুন্নবী সামাদী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খালেদ হোসাইন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাংবাদিক ও কবি জিয়াদ আলী, বিশ্বভারতীর অধ্যাপক অতনু শাশমল, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বিশ্বতোষ চৌধুরী, রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার পাল প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস