সাংবাদিক ও গীতিকার কে জি মোস্তফার জানাজা জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৯ মে) বাদ জোহর প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে তার দ্বিতীয় জানাজা হয়।
জানাজায় অংশ নেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি কবি হাসান হাফিজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মোরসালীন নোমানীসহ সাংবাদিক ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, কে জি মোস্তফা অত্যন্ত বিনয়ী ছিলেন। তার মধ্যে সেবার মানসিকতা ছিল। তিনি প্রায়ই জাতীয় প্রেস ক্লাবে এসেছেন এবং তার সঙ্গে আমার কথা হতো।
কে জি মোস্তফার ছোট ছেলে খন্দকার রউফুল হাসান বলেন, আমার বাবা আপনাদের কাছে কোনো খারাপ ব্যবহার করে থাকলে ক্ষমা করে দিবেন। আর তার জন্য দোয়া করবেন।
প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি কবি হাসান হাফিজ বলেন, আমরা কে জি মোস্তফা ভাইকে সম্মান দিতে পারি নাই। এর জন্য তার কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।
জানাজা শেষে জাতীয় প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা কে জি মোস্তফার মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানান। আজ দুপুরে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে রোববার (৮ মে) রাত ৮টার দিকে নিজ বাসায় অসুস্থবোধ করলে কে জি মোস্তফাকে শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর সোমবার সকালে আজিমপুরে তার প্রথম জানাজা হয়।
১৯৩৭ সালের ১ জুলাই নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে কে জি মোস্তফার জন্ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষানবিশ হিসেবে ১৯৫৮ সালে তার হাতেখড়ি দৈনিক ইত্তেহাদে।
‘তোমারে লেগেছে এত যে ভালো…’, ‘আয়নাতে ওই মুখ দেখবে যখন…’— এমন অসামান্য জনপ্রিয় সব গানের গীতিকার কে জি মোস্তফা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ