বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সবাই একসঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা’ বাংলাদেশ সীমান্তে অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েন সৌদিতে সড়কে প্রাণ গেল ময়মনসিংহের দুই যুবকের, পরিবারে শোকের মাতম বিএনপিকর্মী মকবুল হত্যা: সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর কারাগারে প্রশাসন নিরপেক্ষ করতে ‘স্বৈরাচারের দোসরদের’ অপসারণ করুন সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল্লাহ শফিকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা বইমেলায় স্টলের জন্য আবেদন করা যাবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নতুন সূচি প্রকাশ ভারত থেকে ২৫ হাজার টন চাল আসছে বৃহস্পতিবার আইএসও/আইইসি ২৭০০১:২০২২ সনদ অর্জন করলো পূবালী ব্যাংক কলকাতার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন পি কে হালদার নিজ দেশে ফিরে যেতে রোহিঙ্গা মুফতি-ওলামাদের সমাবেশ ভিডিও: কাজাখস্তানে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে নিহত অন্তত ৪০ উপকূলীয় মানুষের নিরাপত্তা ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে কোস্টগার্ড দেখে নিন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কোথায়? ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগ, স্নাতক পাসেও আবেদনের সুযোগ

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের মর্যাদা সমুন্নত রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
  • ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে অন্যতম শীর্ষ সেনা ও পুলিশ সদস্য প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বর্ধমান ও নতুন ‘অপ্রচলিত হুমকির’ প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ ব্লু হেলমেট মিশনের সংস্কার ও বর্ধিত মর্যাদা চায়।

জাতিসংঘ মহাসচিব এন্টোনিও গুতেরেজের উদ্যোগে অ্যাকশন ফর পিস কিপিং (এফোরপি)-এর ওপর একটি উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমানে শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের এখন কিছু স্থানে মোতায়েন করা হচ্ছে, যেখানে শান্তি বজায় রাখার মতো পরিস্থিতি নেই। এবং তারা ক্রমবর্ধমান হারে অ-রাষ্ট্রীয় শক্তির কাছ থেকে অপ্রচলিত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের মিশনগুলো প্রায়ই অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি ভিন্ন মর্যাদা নিয়ে কাজ করছে, যা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে আরো জটিল ও বিপজ্জনক করে তুলছে। আর তাই যারা সম্মুখ সারিতে রয়েছেন তাদের কথা শুনতে হবে।তিনি বলেন, ‘এ জন্য শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের সুস্পষ্ট ম্যান্ডেট দিতে হবে এবং এই ম্যান্ডেট বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত কর্তৃত্ব ও সরঞ্জামও তাদের দিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী ব্লু হেলমেট মিশনের ব্যয় ও সৈন্য হ্রাসের যে কোনো পদক্ষেপের বিপক্ষে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিনিয়োগ এ মিশন কর্তৃক বাঁচানো প্রতিটি জীবনের মতোই অমূল্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘(তাই) ব্যয় ও সৈন্য হ্রাস কর্মক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।’

ইউএনজিএ অধিবেশনের পাশাপাশি জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।’ ‘বিশ্বের গোলযোগপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে নিয়োজিত ব্লু হেলমেট মিশনে সেনা ও পুলিশ সদস্য প্রেরণকারী অন্যতম শীর্ষ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর ওপর অতিরিক্ত গুরুত্ব দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা (বাংলাদেশ) জাতিসংঘে শান্তিরক্ষার আহবানে সাড়া দিতে কখনো ব্যর্থ হইনি। চলতি বছর আমরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের ৩০ বছরের অবদান উদযাপন করেছি।’তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ সদর দপ্তর এবং মাঠপর্যায়ে আরো অধিক সংখ্যক সিনিয়র নেতৃত্ব পাঠাতে পারলে খুশী হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, শান্তিরক্ষীদের অঙ্গীকার এবং কর্মদক্ষতা যেমন তাদের মোতায়েনের লক্ষ্য অর্জন করতে হবে, তেমন শান্তিরক্ষা মিশনে যেসব দেশ সেনা ও পুলিশ সদস্য প্রেরণ করছে নিরাপত্তা পরিষদ ও জাতিসংঘ সচিবালয়কে সেসব দেশকে আস্থায় নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা উন্নত করতে হবে। আমরা আশা করি, এ-৪পি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনকে এর লক্ষ্য অর্জনের উপযুক্ত হতে সহায়তা করবে।’

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেলে জাতিসংঘ দপ্তরের ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে অনু্িষ্ঠত এ অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্টোনিও গুতেরেজও বক্তৃতা করেন।দ্য ডিক্লারেশন অব শেয়ার্ড পিস কিপিং কমিটমেন্টস-কে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল বয়ে এনেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি সংশ্লিষ্ট সকলের সামষ্টিক দায়িত্বশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করে এবং এটি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের রাজনীতির অগ্রাধিকারকেও পুনঃনিশ্চিত করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘোষণায় অর্থবহ অগ্রগতির পাশাপাশি অঙ্গীকারেরও মূল্যায়ন করতে হবে। বাংলাদেশ তার নিজের কর্তব্য পালনে প্রস্তুত রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশী অনেক শান্তিরক্ষী দায়িত্বরত অবস্থায় প্রাণ হারিয়েছেন। তবুও দায়িত্ব পালনে আমাদের শান্তিরক্ষীদের সংকল্প অবিচল রয়েছে। এখন আমরা সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ে আমাদের শান্তিরক্ষীদের মোতায়েন করতে পারি।’তিনি বলেন, আমরা তাদের ভালো এবং উন্নত ও অগ্রসর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। তারা যে কোন চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে। তারা যে জনগণের জন্য কাজ করছে তাদের হৃদয়-মন জয়ের জন্য কাজ করে থাকে।

বাংলাদেশ জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালনরত তার সৈন্যদের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশেষ করে আমরা মালিতে আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনীকে মাইন-রোধী যানবাহন সরবরাহ করেছি।প্রধানমন্ত্রী বলেন,আমরা অন্যান্য মিশনেও এটি অনুসরণ করবো।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে নারী শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনে আগ্রহী। আর তাই ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে আমাদের প্রথম নারী হেলিকপ্টার পাইলট দল মোতায়েন করে আমরা মাইলফলক স্থাপন করেছি।তিনি বলেন,‘আমি জাতিসংঘ মহাসচিবের সার্কেল অব লিডারশিপ-এর কাজের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ।’

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: বাসস/এসএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com