বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: গুলশানের ঘটনায় আহত অবস্থায় আটক বাবুর্চি জাকির হোসেন শাওনকে পুলিশই মেরেছে বলে জাকিরের মা মাসুদা বেগম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, জাকির কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।
আজ শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাকির।
তার পরই হাসপাতালে সাংবাদিকদের সামনে জাকির হোসেন শাওনের মা মাসুদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলে গরিবের সন্তান, রিকশাওয়ালার ছেলে, পিঠাওয়ালির পোলা। আমার বাবা ছোট্ট মানুষ। শিক্ষিতও না। নিজের নামডাও ভালো কইরা লেখতে পারে না।’
‘আমার বিশ্বাস, ডিবির লোকে তারে মারছে, পুলিশের গাড়ি কইরা ধইরা নিয়া গেছে’, বুক চাপড়ে বলতে থাকেন মাসুদা।
এ সময় হাসপাতালে শাওনের বাবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১ জুলাই হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার পর ওই এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ শাওনকে আটক করেছিল। দীর্ঘদিন জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
শাওন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী বলে পুলিশ দাবি করে।
তবে তাঁর পরিবারের দাবি, তিনি হলি আর্টিজানে বাবুর্চির সহকারী হিসেবে দেড় বছর ধরে কাজ করেন। কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না।
ঘটনার পরের দিন ২ জুলাই পরিবারের সদস্যরা শাওনের খোঁজে গুলশান এলাকায় যান এবং সেখানে সাংবাদিকদের শাওনের ছবিও দেখান। এ সময় তারা শাওনের খোঁজে পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। শাওনের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে এর পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়।
হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি ২২ জনকে হত্যা করে। সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। পরের দিন কমান্ডো অভিযানে ছয় সন্দেহভাজন অস্ত্রধারী নিহত হয়।
বাংলা৭১নিউজ/আরএস