স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটা বৈশ্বিক সমস্যা। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। অথচ এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোনো দায় নেই। এজন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ধনী দেশগুলো থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান স্পিকার।
সোমবার (১৫ মে) পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে সংসদ সচিবালয় ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ফাউন্ডেশনাল নলেজ এক্সচেঞ্জ অন সাপোর্টিং ক্লাইমেট এ্যাকশন থ্রো পার্লামেন্টারি এ্যাকশন শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন স্পিকার।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর সহকারি আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান গুয়েন।
কর্মশালায় বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ।
কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ মতামত দেন আইসিসিসিডি’র পরিচালক প্রফেসর সালিমুল হক এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ মালিহা মুজাম্মিল।
অনুষ্ঠানের মুক্ত আলোচনা পূর্ব সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম এবং এ পর্বে সংসদ সদস্যরা মূল্যবান মতামত দেন।
স্পিকার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সদস্যদের সুচিন্তিত মতামত ও উদ্ভাবনী পরামর্শ খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সংসদ সদস্যদের সবাই অনুসরণ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণকে সচেতন করার জন্য লিফলেট তৈরি করে বিতরণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের চেইঞ্জ মেইকার তরুণ-তরুণীদের মেধাকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বাংলাদেশ সবসময় অগ্রবর্তী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের মুখপাত্র। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সোচ্চার রয়েছেন উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ প্রথম জলবায়ু ট্রাস্ট গঠন করে। এজন্যই জাতিসংঘের পরিবেশ-বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ, অত্যাধিক তাপদাহের কারণ, নদী দূষণ, বৃক্ষরোপণ, শিল্প কারখানার দূষিত পানি থেকে নদীকে রক্ষা করা, বৃষ্টি পানি ধরে রেখে পরবর্তী সময় ব্যবহার করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে সংসদ সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্র ও নদী তীরবর্তী তৃণমূলের জনগণ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সংসদ সদস্যদের নিয়ে কর্মশালা করে পরিকল্পনা ঠিক করতে ইউএনডিপিকে স্পিকার পরামর্শ দেন।
কর্মশালায় বেগম রওশন আরা মান্নান, আহসানুল ইসলাম (টিটু) এমপি, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, শবনম জাহান, বাসন্তী চাকমা, আরমা দত্ত, উম্মে ফাতেমা নাজমা, জাকিয়া পারভীন খানম, অপরাজিতা হক, মোছা. শামীমা আক্তার খানম, সৈয়দা রুবিনা আক্তার, আদিবা আনজুম মিতা, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এবং আফরোজা হক অংশ নেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য, ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ