বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যেপ এরদোগান ও তার নির্বাচনি জোটের প্রধান শরিক দল বিতর্কিত জরুরি আইন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নতুন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে তুরস্কের জনগণ।
২০১৬ সালে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের জের ধরে তুরস্কে জরুরি আইন জারি করা হয়েছিল যার মেয়াদ পরবর্তীতে কয়েক দফা বাড়ানো হয়। এ আইনের সর্বশেষ মেয়াদ আগামী মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
তিন মাসব্যাপী চলতি জরুরি অবস্থার মেয়াদ জুলাইতে শেষ হওয়ার পর তা আর নবায়ন না করতে সম্মত হয়েছেন এরদোগান ও এমএইচপি নেতা দেভলেত বাহচেলি। বুধবার এক বৈঠকে দুই নেতা এ সিদ্ধান্ত নেন।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান এমএইচপি দলকে মন্ত্রিসভায় স্থান দিতে পারেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। গত ২৪ জুন তুরস্কে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন রিসেপ তায়্যেপ এরদোগান ও তার দল একেপি। এ নির্বাচনের আগে দলীয় প্রচারণায় জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এরদোগান।
তুরস্কে উঠে যাচ্ছে জরুরি অবস্থা
দুই বছর পর তুরস্কে উঠে যাচ্ছে জরুরি অবস্থা। বৃহস্পতিবার দেশটির সরকারপন্থী গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোয়ান বুধবার রাজধানী আঙ্কারায় জোটের শরীক ন্যাশনাল মুভমেন্ট পার্টির (এমএইচপি) নেতা দেভলেত বাচেলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানেই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ব্যাপারে একমত হন দুই নেতা।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এর আগে জরুরি অবস্থার মেয়াদ তিন মাসের জন্য বাড়ানো হয়। যা জুলাই মাসে শেষ হবে।
চলতি মাসের শুরুতে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ২৪ জুনের নির্বাচনে জয়ী হলে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করবেন। সেই প্রতিশ্রুতিই তিনি রক্ষা করতে যাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র: এরাবিয়ান জার্নাল।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস