বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১২:৪০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে গুলি, পুলিশ বলছে ‘মিসফায়ার’ বিদেশযাত্রায় দালালের দৌরাত্ম্য কমাতে দেওয়া হচ্ছে সাজা ও অর্থদণ্ড পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি দেশে সাড়ে ১১ লাখ টন খাদ্য মজুত আছে : খাদ্যমন্ত্রী নাটোরে ঋণের চাপে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে বিষপান কাউন্সিলরের ১০ বছরের কারাদণ্ড নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জাইকার প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ তিন দেশ থেকে ২৮২ কোটি টাকার ইউরিয়া সার আনবে সরকার ঝড়ের কবলে পড়ে সাগরে ডুবে গেছে লবণ বোঝাই ১০ ট্রলার ভোট পড়েছে ৩০-৪০ শতাংশ : সিইসি একলাফে ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা : রুমানা আলী ভারতের পররাষ্ট্র-সচিবের সফরে সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গ তুলবে ঢাকা ভাঙা রেললাইনে বস্তা গুঁজে চলছে ট্রেন কেন্দ্র দখল করতে অর্ধশত ককটেল বিস্ফোরণ, সংঘর্ষে আহত ১৫ বুশরা বিবিকে বাড়ি থেকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ আমি সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলে যাব: প্রধানমন্ত্রী ঝিনাইদহে ৫ ঘণ্টায় ৭ ভোট! ওমরাহ শেষে দেশে ফিরলেন মির্জা ফখরুল

জনির পরিবর্তে ৩ মাস জেলে নিরপরাধ সবুজ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ১২ মে, ২০১৯
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(যশোর)প্রতিনিধি: যশোরে এবার হত্যা মামলার আসামি জনি শেখ (২৬) পরিবর্তে প্রায় তিন মাস ধরে কারাগারে বন্দি সবুজ বিশ্বাস (২৭) নামে এক যুবক। বাবার নামের সঙ্গে মিল থাকায় পুলিশ জনির পরিবর্তে সবুজকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। তবে পুলিশের এই ভুল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

কারণ যশোরে এমন ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে স্বামীর নামে মিল থাকায় শিরিন বেগমের পরিবর্তে রেখা খাতুন নামে এক নারী ১৫ দিন জেল খেটেছে। পরে আদালতের নজরে আনলে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

এ বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ জনি শেখের পরিবর্তে সবুজ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। সবুজের বাবা খায়রুল বিশ্বাস পুলিশের কাছে বারবার ধরনা দিয়েও প্রমাণ করতে পারেননি জনি শেখের পরিবর্তে তার ছেলের গ্রেফতারের বিষয়টি।

পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর পুলেরহাট বাজার থেকে অপহরণের পর খুন হন বেড়বাড়ি গ্রামের মিঠু শেখ। এ ঘটনায় তার ভাই ইস্রাফিল শেখ কোতোয়ালি থানায় ৯ জনের নামে মামলা করেন। পরে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ মামলার ৫ নম্বর আসামি শহরের খোলাডাঙ্গা কদমতলা এলাকার খায়রুলের ছেলে জনি শেখ ঘটনার পর থেকেই পলাতক। পুলিশ সবুজ বিশ্বাসকেই জনি দাবি করে এবং তাকে গ্রেফতার করে। সবুজের বাবা বারবার চেষ্টা করেও পুলিশকে বোঝাতে না পেরে বৃহস্পতিবার বিষয়টির প্রতি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে সবুজের জামিন আবেদন করেন। ওইদিনই যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। একই সঙ্গে ২২ মে সবুজ বিশ্বাস ও মামলার বাদী ইস্রাফিল শেখসহ তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

সবুজের আইনজীবী মোস্তফা হুমায়ুন কবীর বলেন, সবুজ দুই মাসের বেশি কারাগারে আটক আছে। সবুজ যে জনি নয় তার প্রমাণ হিসেবে আদালতে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়েছি। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।

সবুজের বাবা খাইরুল বিশ্বাসের দাবি, আমার ছেলে পেশায় ড্রাইভার। সবুজ যে জনি নয় পুলিশকে তা কোনোভাবে বোঝাতে পারিনি। খোলাডাঙ্গা গ্রামে খাইরুল নামে আরও কয়েকজন আছে। তাদের ছেলেরাও আমার ছেলের বয়সী। আমার ছেলে সবুজ কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়।

এর আগে একটি মাদক মামলায় স্বামীর নামের সঙ্গে মিল থাকায় শিরিন বেগমের পরিবর্তে রেখা খাতুন নামে এক নারীকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ১৫ দিন সাজা ভোগের পর মুক্তি পান রেখা খাতুন। ৪ এপ্রিল তাকে মুক্তি দেয়া হয়। ওই সময় যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানি দাবি করেন, এটি পুলিশের অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনছার উদ্দিন বলেন, এলাকাবাসী ও বাদী নিশ্চিত করেছিল ‘সবুজ’ নামে যাকে আটক করা হয়েছে সে-ই জনি। এ বিষয়ে সবুজের পরিবারের লোকজন জোরালো কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। এ জন্য হয়তো ভুল হতে পারে। পরে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়েছেন। বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছেন। আদালত চাইলে তাকে মুক্তি দিতে পারবেন। আমরাও তদন্ত করছি। আমরা চাই না কোনো মানুষ বিনা অপরাধে জেল খাটুক। এমন ঘটনা যেন না ঘটে সেই বিষয়েও সতর্ক করছি।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, যখন পুলিশ কোনো আসামি গ্রেফতার করতে যায় তখন এলাকার লোকজনই শনাক্ত করে ‘উনিই সেই লোক’। অনেক সময় আসামিরা নাম পরিবর্তন করে। ডাক নামে চার্জশিট হয়। এই লোকের (জনি শেখ) ডাক নামও কিন্তু সবুজ। এলাকাবাসীও বলছে তার নাম সবুজ। অনেক সময় অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়ে যায়। পরে পুলিশের পক্ষে প্রমাণ করা কঠিন হয়ে যায়। আমাদের যারা তথ্য দেয়, তারা তো গোপনেই দেয়।

এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে- সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আগের ঘটনাটি পুলিশের অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল। যদিও স্থানীয়রা শনাক্ত করেছিল সে-ই শিরিন। একই ব্যক্তির এক স্ত্রীর পরিবর্তে আরেক স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

বাংলা৭১নিউজ/এলএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com