বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের জন্য জনগণ প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক কন্ঠ আয়োজিত খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি ও গণতন্ত্র উত্তরণে সুষ্ঠৃ নির্বাচন অপরিহার্য শীর্ষক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন একথা বলেন।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন যেমন যৌক্তিক। তেমনি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনও যৌক্তিক। এজন্য খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের জন্য জনগণ প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, অতীতে বাংলাদেশ মানুষ দেখিয়েছে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, আইয়ুব খান বিরোধী আন্দোলন। ভবিষ্যতেও তারা দেখাবে।
আমাদের আন্দোলন জনগনের ভোটের অধিকারের জন্য। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অংশগ্রহনমূলক নির্বাচনের জন্য আমাদের আন্দোলন। এদেশের সকল মানুষের স্বার্থ এখানে জড়িত। জনগণ আন্দোলনের জন্য সময়ের অপেক্ষা করছে। ইনশাআল্লাহ আমরা অত্যন্ত আাশান্বিত জনগণ যেদিন সময় অনুভব করবে, সেদিন দেখিয়ে দেবে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, একজন মন্ত্রী বলেছেন- কোটা সংস্কার হলে রাজাকারের বাচ্চারা চাকরি পাবে। আজ তার প্রধানমন্ত্রী কোটা পদ্ধতিই বাতিল করলেন। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনা।
সভায় আমারদেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, আমার বক্তব্য প্রচার করার সাহস দেশের কোন মিডিয়ার নেই। প্রচার করলে সেই মিডিয়া বন্ধ করে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ভিসির অনুমতি ছাড়া কোন ছাত্রকে গ্রেফতার করতে পারতনা। আর এখন একজন এডিসি বলে, দেখছিস না কে এসেছে। একেবারে খাইয়া ফালামু’। কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নেয়ার ফলে এটা প্রমাণ হয়েছে যে, এটা ছিল যোক্তিক আন্দোলন। সুতরাং এই আন্দোলনে কোন মামলা থাকতে পারেনা। সকল মামলা তুলে নেয়ারও দাবি জানান তিনি।
সংগঠনের সভাপতি রামিজ খানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিন প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস