শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৮:১০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

ছোট্ট মায়িশার চিঠি ভাইরাল

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৯
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের পার্বতীপুরে হয়বতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই আছে একটি ইটভাটা। ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় শিক্ষার্থীদের অনেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগে। সম্প্রতি সেখানে আরেকটি ইটভাটা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বাঁচার আকুতি জানিয়ে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে চিঠি লিখে ওই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী মায়িশা মনাওয়ারা মিশু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই চিঠির কল্যাণে ইটভাটা বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।

মায়িশা দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। ডিসিকে সে চিঠিতে লিখেছে, ‘আমাদের স্কুলের পাশে বিপ্লব নামের একজন লোক ইটভাটা দিয়েছেন। কালো ধোঁয়ায় আমাদের শ্বাসকষ্ট হয়। পরিবেশের ক্ষতি হয়। চোখ জ্বালা করে। এখন আবার স্কুলের পাশে মুক্তা নামের আরেক লোক আরেকটি ইটভাটা দিচ্ছেন। তাহলে আমাদের আরও কষ্ট হবে। আমরা কীভাবে বাঁচব? আপনি আমাদের বাঁচান।’

মায়িশার লেখা চিঠির একটি কপি তার বাবা  বিরামপুর প্রতিনিধিকে দেন  তাঁর ফেসবুকে চিঠিটি শেয়ার করেন। এরপর চিঠিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও দিনাজপুর-২ আসনের সাংসদ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং জেলা প্রশাসনের নজরে আসে।

মায়িশার বাবা গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মমিনুল হক বলেন, সন্ধ্যায় প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মুঠোফোনে তাঁর মেয়ের সঙ্গে কথা বলে ইটভাটা বন্ধের আশ্বাস দেন। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানুল হক ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া মিশুর চিঠিটি নজরে আসে। কোনো বিদ্যালয়ের পাশে এভাবে ইটভাটা চলতে পারে না। ইটভাটা মালিকেরা আদালতে তাদের নিজের মতো করে কাগজপত্র উপস্থাপন করেন। তাঁরা যে কাগজ উপস্থাপন করেন, তাতে নিশ্চয় ইটভাটার পাশে স্কুল বা গ্রাম থাকার কথা উল্লেখ করেন না। আগে মানুষের জীবন ও পরিবেশ, তারপর ইট। বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেন।

হয়বতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিনাত রেহানা বলেন, এই বিদ্যালয়ে ১৬৩ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। তাদের একজন মায়িশা।

মায়িশা বলে, তার মতো বিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি শিশুর চোখ দিয়ে পানি পড়ে। চোখ জ্বালা করে। কেউ ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারে না।

জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন থাকায় আইনগতভাবে ইটভাটাটি বন্ধ করা না গেলেও পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতির কথা বিবেচনা করে মালিককে বলে আপাতত এটি বন্ধ রাখা হয়েছে।

পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানুল হক বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গতকাল বুধবার বিকেল ৩টায় পার্বতীপুরের ওই ইটভাটায় গিয়ে কাগজপত্র যাচাই করে দেখা যায়, উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন আছে। পরে ভাটা মালিককে বুঝিয়ে আপাতত ইটভাটাটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। রাতে ভাটা মালিক আবারও ভাটা চালু করেছেন—এমন খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দল নিয়ে ভাটার আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়।

বাংলা৭১নিউজ/এসয

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com