বাংলা৭১নিউজ, ময়মনসিংহ : জেলার ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজে ছাত্র-শিক্ষকদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটায় শিক্ষকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
আজ দুপুরের এই ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন। ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ সরকারিকরণের দাবিতে এই বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
নিহত শিক্ষকের নাম আবুল কালাম আজাদ। নিহত অপরজন পথচারী। তার নাম সফর আলী (৭০)। আহতদের নাম জানা যায়নি।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, পুলিশ আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিলে প্রথমে বাঁধা দেয়। এরপর ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ দাবি আদায় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম আবুল হাশেম বিকেল পর্যন্ত অবরোধের ঘোষণা দেন।
এতে অনেকেই কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে। এ সময় পুলিশ তাদের বেধড়ক লাঠিপেটা, বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন।
পুলিশের লাঠিপেটায় শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ গুরুতর আহত হন। পরে তাকে কমিউনিটি কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
একই সময় পুলিশের লাঠিপেটায় পথচারী সফর আলীর মৃত্যু হয় বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করছে।
তবে পুলিশের দাবি, এ পথচারীর মৃত্যুর সঙ্গে লাঠিপেটার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ওই ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে।
ফুলবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিফাত খান রাজিব জানান, আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করছিল। তাদের ছত্রভঙ্গ করতেই লাঠিপেটা করা হয়।
তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে অনেক দূরে স্থানীয় উপজেলা পরিষদের সামনে সফর আলী নামে এক পথচারী অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। পরে পুলিশই তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে এ মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে আন্দোলনকারীরা গুজব ছড়াচ্ছে।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরে আলম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত এক প্লাটুন র্যাব ও পাঁচ প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম ফুলবাড়িয়া কলেজে ২০/২৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের কথা কথা স্বীকার করেছেন এবং বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান।
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ সরকারিকরণের দাবিতে ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়। মামলার প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা আজ বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস