রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর আক্রমণের অভিযোগে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে রমনা থানায় মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(১১ মার্চ) রাতে রমনা থানার এসআই আবুল খায়ের বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় আরও অজ্ঞাত ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, মামলায় ১২ আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিদের কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহসহ গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন— অংঅং মারমা (২৫), সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ইডেন মহিলা কলেজ শাখা সভাপতি সুমাইয়া শাহিনা (২৫), জবি ছাত্র ইউনিয়নের আদ্রিতা রায় (২৩), ছাত্র ফেডারেশনের আরমান (৩০), বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মেঘমল্লার বসু (২৮),বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরের সভাপতি আল আমিন রহমান (২৫), বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা রিচার্ড (২৬), ছাত্র ফেডারেশনের হাসান শিকদার (২৫), বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের(ঢাবি) সীমা আক্তার (২৫), বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৌকত আরিফ (২৬), বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাঈন আহাম্মেদ (২৪), গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহাম্মদ চৌধুরী (২৫)। এছাড়া ৭০-৮০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কাকরাইল মোড় এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে (রমনা-২১) মোবাইল ডিউটিতে নিয়োজিত থাকাকালীন বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে জানতে পারি যে, ধর্ষণ বিরোধী পদযাত্রার নামে নারী-পুরুষসহ অনুমান ৭০-৮০ জনের একটি বিক্ষোভকারী দল শাহবাগ মোড় হতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন (যমুনা) অভিমুখে যাত্রার উদ্দেশ্যে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ের দিকে আসতেছে।
ওই সংবাদের ভিত্তিতে আমি ফোর্সসহ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে উপস্থিত হই এবং যমুনা কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ডিউটিতে নিয়োজিত অফিসার ও ফোর্সেদের সহায়তায় ৩ টা ৩৫ থেকে রমনা মডেল থানাধীন হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল মোড়ে বিক্ষোভকারীদেরকে রোড ব্যারিকেড দিয়া বাধা দেওয়া হয়।
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের (রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা) নিরাপত্তা ও রাস্তার যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে বিক্ষোভকারীদের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত এসি রমনা জোনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অনুরোধ করলে তারা উল্টো পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে উদ্ধত ও মারমুখী আচরণ শুরু করতে থাকে।
বিক্ষোভকারীরা পুলিশের অনুরোধের কোনো তোয়াক্কা না করে লাঠিসোঁটা নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যারিকেড অতিক্রম করার চেষ্টা করে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিউটিতে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা করে এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
বিক্ষোভকারীদের হামলায় রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ পিওএম(উত্তর) পুলিশ সদস্য রায়হান, কাউছার, মো. রোহান, মো. সাইফুল ইসলাম, রাজারবাগের নারী পুলিশ সদস্য আদিবা, রুবিনা মারাত্মকভাবে গুরুতর আঘাত হন।
পরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ