ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহিদি মার্চ’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ‘শহিদি মার্চ’ নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, কলাবাগান, মিরপুর রোড ধরে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও সংসদ ভবনের সামনে দিয়ে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ ও রাজু ভাস্কর্য হয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হবে।
এর আগে দুপুর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শহিদি মার্চ কর্মসূচিতে অংশ নিতে ছাত্র-জনতা জড়ো হতে থাকেন। রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা থেকে শুরু করে নানা শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে জড়ো হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। তাদের বেশির ভাগের হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা দেখা গেছে। বেলা আড়াইটার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়ে ছাত্র-জনতা বিভিন্ন স্লোগান দিতে শুরু করে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবিতে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নিলে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।
তবে এ আন্দোলন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে শিক্ষার্থী-জনতার সংঘর্ষ ও নির্বিচার গুলিতে আটশর বেশি মানুষকে বিসর্জন দিতে হয়েছে প্রাণ। এর মধ্যে রয়েছে শিশুরাও। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ, যাদের হাজারেরও বেশি এখনো হাসপাতালের শয্যায় কাতরাছেন। এদের অনেকের হাত-পা কেটে ফেলতে হয়েছে, কেউ কেউ হারিয়েছেন চোখ।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও যথেচ্ছাচারে গত ১৫ বছরে দেশের প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে যে সঙ্গিন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে মুক্তির আশায় রয়েছেন দেশবাসী।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ