বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা : বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলাম, এখনো কর্মী আছি- এ কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন প্রধান অতিথি শেখ হাসিনার ভাষণের আগে তাকে ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেত্রী ও কর্মী হিসেবে উল্লেখ করেন।
এরপর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সময় বলা হল ছাত্রলীগের নেত্রী। কিন্তু নেত্রী নয়, আমি একজন কর্মী ছিলাম এবং এখনো কর্মী আছি।’
ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
ছাত্রলীগের ইতিহাস বাঙালির ইতিহাস- এ কথা উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন দলের এই ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করলে এবং দেশ ও জাতিকে কিছু দিতে পারলে সেই সম্পদটা চিরদিন থাকে। কিন্তু ধন-সম্পদ চিরদিন থাকে না। ছাত্রদের জন্য সবচেয় বড় কথা হচ্ছে শিক্ষা। কারণ, শিক্ষাই পারে একটি দেশের জাতিকে দারিদ্র্যমুক্ত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে। আমরা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। আর তার মূল হাতিয়ার হচ্ছে শিক্ষা।’
শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতি’ এই মূলনীতির কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আমি আমাদের কথা বললাম। যদিও আওয়ামী লীগ করি, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী কিন্তু ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে কাজ করার কথা ভুলতে পারি না। সেখান থেকেই তো রাজনীতির হাতেখড়ি। সেখানেই আমরা শিখেছি শিক্ষা শান্তি প্রগতি ছাত্রলীগের মূলনীতি। কাজেই ছাত্রলীগের প্রত্যেককে ছাত্র রাজনীতির সাথে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষা গ্রহণ করাই হচ্ছে সব থেকে বড় কাজ।’
কারও নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অশিক্ষিতদের হাতে যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব যায় তাহলে দেশের কি দূরবস্থা হতে পারে সেটা তো আমরা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি ‘৭৫ সালের পর থেকে।’
বাংলা৭১নিউজ/এম